সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কি ফুটবল পায়ে মাঠে নামতে পারবেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন? এ প্রশ্ন যেন নতুন করে মাথাচাড়া দিল। কারণ এবার চিকিৎসকরা জানালেন, তাঁর শরীরে বসানো হচ্ছে হার্ট-স্টাটার ডিভাইস (ICD)। হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতেই এই কৃত্রিম যন্ত্রটি বসাতে হচ্ছে ড্যানিশ তারকার শরীরে।
গত শনিবার ইউরো কাপে (Euro Cup 2020) ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে আচমকাই মাঠে লুটিয়ে পড়েন ডেনমার্কের (Denmark) এরিকসন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই চেতনা হারান বলে জানা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এরিকসনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক মুহূর্তের জন্য গোটা বিশ্বের ফুটবল মহল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এক অজানা আশঙ্কা গ্রাস করেছিল আপামর ফুটবলপ্রেমীদের। তবে, চিকিৎসকদের তৎপরতা এবং সতীর্থদের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ড্যানিশ তারকা। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতাল থেকে এরিকসন বার্তা দিয়েছিলেন, “আই অ্যাম ফাইন। তবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।” এবার জানা গেল, হার্ট-স্টাটার ডিভাইস বসিয়ে তাঁর হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তাররা। ডা. মর্টেন বসেন জানান, “এরিকসনের হার্টের একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপরই ঠিক হয়, ICD বসানো হবে। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত হৃদস্পন্দনে সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণেই এই কৃত্রিম যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: অনন্য সম্মান, সেনকো গোল্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ]
উল্লেখ্য, লন্ডনের সেন্ট জর্জে’স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক তথা টটেনহ্যামে একসময় এরিকসনের সঙ্গে কাজ করা সঞ্জয় শর্মা এরিকসনের ফুটবল ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, শরীরে খুব বড় কিছু না হলে একজন ফুটবলার এভাবে লুটিয়ে পড়েন না। আর ফুটবলারদের শরীর-স্বাস্থ্যের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর ব্রিটেন ফুটবল। ফুটবলার প্রাণ ফিরে পেয়েছেন, এটাই তাদের কাছে বড় ব্যাপার। তাঁকে নিয়ে তাই কোনও ঝুঁকি হয়তো নিতে চাইবে না ব্রিটেন। সেক্ষেত্রে হয়তো দেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর কখনও নাও খেলতে পারেন তিনি। হয়তো অন্য কোথাও খেলার সুযোগ পেতেও পারেন। এভাবেই তাঁর খেলা নিয়ে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন সঞ্জয় শর্মা। এবার হৃদয়ে কৃত্রিম যন্ত্র বসানোর খবর চিন্তার ভাঁজ বাড়ানো অনুরাগীদের কপালে।