shono
Advertisement

Breaking News

Euro 2020: কাজে এল না সমারের মরিয়া লড়াই, টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে শেষ চারে স্পেন

পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে না পারার খেসারত দিতে হল সুইজারল্যান্ডকে।
Posted: 12:24 AM Jul 03, 2021Updated: 03:03 AM Jul 03, 2021

স্পেন ১ (৩) (জাকারিয়া আত্মঘাতী)
সুইজারল্যান্ড-১ (১) (শাকিরি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজে এল না সুইজারল্যান্ডের (Switzerland) গোলকিপার ইয়ান সমারের মরিয়া লড়াই। ১২০ মিনিট ভরসা জোগাল তাঁর গ্লাভস জোড়া। দক্ষ হাতে স্পেনীয় ঝড় সামলাচ্ছিলেন সমার। পেনাল্টি শুট আউটেও তাঁর ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ ইউরো কাপে (Euro 2020) ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থেকে যেতে হল সমারকে। দলগত ব্যর্থতার জন্যই শুক্রবার স্পেনের (Spain) কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল সুইজারল্যান্ড। শেষ চারে গেল লুইস এনরিকের স্পেন। 

Advertisement

বুন্দেশলিগায় বরুসিয়া ম্যানচেনগ্লাডবাখের গোল আগলানোর দায়িত্বে থাকেন সমার। তাঁর ধারাবাহিকতার কথা জানে জার্মানি। বহুবার তিনি তাঁর ক্লাব দলকে জিতিয়েছেন। এদিনও তিনি একাই প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন ‘বুলফাইটিং’য়ের দেশকে। আসল সময়ে তাঁর সতীর্থরা পেনাল্টি শুট আউট থেকে গোল করতে পারেননি।আর তার জন্যই অল্পের জন্য রজার ফেডেরারের দেশের ফুটবলে সুর্যোদয় হল না। 

[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট থেকে উপার্জনে শীর্ষে রোনাল্ডো, প্রথম কুড়িতে কোহলিও! জানেন আয় কত?]

প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়েছিল সুইজারল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালেও স্পেনের মতো ‘পাওয়ার হাউজ’কে শান্ত রেখেছিল ১২০ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে দু’দলের খেলার ফলাফল ছিল ১-১। এক্সট্রা টাইমেও গোল করতে পারেনি কোনও দলই। ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে সমারের মতোই স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোন শাখাপ্রশাখা মেলে দেন গোললাইনে দাঁড়িয়ে। 

শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে একসময়ে দু’ গোলে পিছিয়ে ছিল সুইসরা। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ফ্রান্স অবলীলায় পৌঁছে যাচ্ছে শেষ আটে। কিন্তু পেটকোভিচের ছেলেরা অন্য কিছু ভেবেছিলেন। মোক্ষম সময়ে পালটা আক্রমণের রাস্তা নেয় তাঁরা। আর তাদের আগ্রাসনে ফ্রান্সের মতো দলও কেঁপে যায়। ৩-১ থেকে ৩-৩ করে সুইজারল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে চলে যায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। পোনাল্টি শুট আউটে এমবাপে গোল করতে না পারায় সুইজারল্যান্ড পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।

শেষ আটের লড়াইয়েও প্রায় একই চিত্রনাট্য। শুরুতেই পেটকোভিচের কৌশল নষ্ট হয়ে যায়। দলের অন্যতম সম্পদ এমবোলো চোট পেয়ে বেরিয়ে যান। ফলে সুইজারল্যান্ড ব্যাকফুটে চলে যায়। জাকারিয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। বাঁ দিক থেকে জর্ডি আলবার বাঁ পায়ের শট সুইজারল্যান্ডের জাকারিয়ার শরীরে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। গোলকিপার ইয়ান সমারের কিছুই করার ছিল না। স্পেন এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। সুইসরা ম্যাচে ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে।

শাকিরি ৬৮ মিনিটে স্পেনীয় ডিফেন্ডার পাউ তোরেস ও লাপোর্তের ভুলে গোল করে যান। ৭৭ মিনিটে রেমো ফ্রেউলার লাল কার্ড দেখেন মোরেনোকে বিশ্রী ভাবে ফাউল করে। ১০ জনে নেমে যায় সুইজারল্যান্ড। বাধ্য হয়ে পেটকোভিচ তুলে নেন গোলদাতা শাকিরিকে। কৌশল বদলায় সুইজারল্যান্ড। জেতা নয়, তাঁরা তখন ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়ছিল। সুইজারল্যান্ডের রক্ষণে একাধিক বার হানাদারি চালায় এনরিকের দল। তবুও গোলের দরজা খুলতে পারেনি স্পেন। সমারকে হার মানানো কঠিন হয়ে উঠেছিল। শেষমেশ পেনাল্টি শুট আউটে এসে শেষ হয়ে গেল সুইজারল্যান্ডের ফুটবল রূপকথা। দীর্ঘদিন মনে থাকবে সমারের লড়াই।    

[আরও পড়ুন: ভারতীয় বুকির থেকে টাকা নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং! দুই ক্রিকেটারকে নির্বাসনে পাঠাল ICC]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement