সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারীর (CoronaVirus) আতঙ্ক কাটিয়ে শুরু হচ্ছে ইউরো কাপ। ব্লকবাস্টার ফুটবল টুর্নামেন্টের দাবিদারদের শক্তি কী? এক্স ফ্যাক্টর কে? এ সমস্ত কিছুই খুঁজে দেখল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। আজ জার্মানি (Germany)।
শক্তি:
শক্তিশালী মাঝমাঠ। লিওন গোরেৎজকা, টনি ক্রুজ, ইকেই গুন্দোগান, এমরে চ্যানের মতো বিশ্বমানের মিডফিল্ডাররা আছেন যাঁরা দিনের দিনে যে কোনও বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে পারেন। আবার গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারের উপস্থিতি দলের আর এক শক্তি।
দুর্বলতা:
ফরোয়ার্ড লাইন একটু হলেও দুর্বল। টিমো ওয়ের্নার (Timo Werner) বা লেরয় সানে-র মতো প্রতিভাবান ফরোয়ার্ডরা চেনা ছন্দে না থাকায় ভুগতে পারে দল। তবে অভিজ্ঞ মুলারের (Thomas Muller) উপস্থিতি ভরসা দিচ্ছে দলকে।
এক্স ফ্যাক্টর:
টমাস মুলার। অভিজ্ঞতা আর গোলমুখে হিমশীতল মানসিকতা, নিখুঁত ফিনিশিং এবং সবথেকে বড় কথা বড় ম্যাচে গোল করার অভিজ্ঞতা। টমাস মুলারের মধ্যে সেই সব গুণ আছে, যা বড় টুর্নামেন্টে কাজে লাগতে পারে।
[আরও পড়ুন: দেশে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ, আতঙ্কে ব্রাজিলে কোপা চাইছেন না নেইমাররা]
সেরা তরুণ তারকা:
কাই হ্যাভার্ৎজ (Kai Havertz)। সেন্টার ফরোয়ার্ড হোক কী উইং। উইথড্রল ফরোয়ার্ড হোক কী সেন্ট্রাল মিডফিল্ড। প্রতিটা পজিশনেই খেলতে পারেন হ্যাভার্ৎজ। গতি আছে। আবার নিখুঁত ফিনিশার।
হেড কোচ:
জোয়াকিম লো। দলকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে ভালবাসেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। দারুণ ট্যাকটিশিয়ান। সব সময় প্ল্যান বি়-ও তৈরি রাখেন।
পুরো দল:
নয়্যার(বায়ার্ন) , লেনো (আর্সেনাল), ট্র্যাপ (ফ্রাঙ্কফুর্ট), জিন্টার (মাঞ্চেনগ্লাডবা), গুন্টের(ফ্রেইবার্গ), সুলে (বায়ার্ন), হুমেলস (ডর্টমুন্ড), হলস্টেনবার্গ (লিপজিগ) রুডিগার (চেলসি), গোসেনস (আটালান্টা), লুকাস (লিপজিগ), কচ (লিডস ইউনাইটেড), এমরি চ্যান (ডর্টমুন্ড) গন্যাব্রি (বায়ার্ন), গোরেৎজকা (বায়ার্ন), ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ইকেই গুন্দোগান (ম্যান সিটি), কিমিখ (বায়ার্ন),হফম্যান (মাঞ্চেনগ্লাডবা), জামাল মুসিয়ালা (বায়ার্ন), নেউহাউস (মাঞ্চেনগ্লাডবা), সানে (বায়ার্ন), ভোল্যান্ড (মোনাকো) হ্যাভার্ৎজ (চেলসি),মুলার (বায়ার্ন), ওয়ের্নার (চেলসি),
কোন ফর্মেশনে খেলতে পারে দল?
৩-৪-৩
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ:
নয়্যার, সুলে, হুমেলস, রুডিগার, গোসেনস,ন্যাব্রি, ক্রুস, ইকেই গুন্দোগান/গোরেৎজকা, হ্যাভার্ৎজ,মুলার, ওয়ার্নার
ইউরোয় সেরা ফল:
১৯৭২, ১৯৮০ ও ১৯৯৬ ইউরোয় চ্যাম্পিয়ন।
[আরও পড়ুন: দেশে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ, আতঙ্কে ব্রাজিলে কোপা চাইছেন না নেইমাররা]
সম্ভাবনা:
এবারের ইউরোয় (Uefe Euro 2020) কঠিন গ্রুপে পড়েছে জার্মানরা। বিপক্ষে রয়েছে টুর্নামেন্টের অন্য দুই ফেভরিট দল পর্তুগাল এবং ফ্রান্স। গ্রুপের অপর দল হাঙ্গেরি। জার্মানির পক্ষে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে গ্রুপ পর্বে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে শেষ ষোলয় সুযোগ পাওয়া। তৃতীয় স্থানে শেষ করলেও অবশ্য সম্ভাবনা থাকছে শেষ ষোলোয় খেলার। সার্বিকভাবে জার্মান দল বেশ শক্তিশালী। আর জার্মান কোচ হিসেবে জোয়াকিম লো’র এটাই শেষ টুর্নামেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই তিনিও চাইবেন চ্যাম্পিয়ন হয়েই জার্মানির কোচের পদ ছাড়তে।