পর্তুগাল ৩ হাঙ্গেরি ০
(রাফায়েল, রোনাল্ডো পেনাল্টি-সহ ২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই মহাতারকা দুই মহাদেশের সেরা টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছেন। কোপা আমেরিকায় রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিকে লিও মেসি গোল করেছেন প্রথম ম্যাচে। যদিও তাঁর দল প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি।
ইউরো কাপের (Euro Cup 2021) প্রথম ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নামার আগেই অদৃশ্য একটা চাপ তৈরি করে রেখেছিলেন আর্জেন্তিনার ১০ নম্বর। একই টুর্নামেন্টে দু’জন একসঙ্গে না খেললেও এই দুই ফুটবলার পৃথিবীর যে প্রান্তেই খেলুন না কেন, একটা প্রতিযোগিতা সব সময়েই চলতে থাকে নিজেদের মধ্যে। একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে চান দু’জনেই। মঙ্গলবার সেরকমই একটা দিন।
[আরও পড়ুন: আফগানদের সঙ্গে ড্র করে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করল ভারত]
রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) গোল করলেন দু’টি। তার মধ্যে একটি পেনাল্টি থেকে। পর্তুগালও (Portugal Football Team) জিতল। ‘সিআর ৭’ অনন্য সব নজিরও গড়লেন। প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ-পাঁচটি ইউরোতে খেলে ফেললেন। সেই সঙ্গে সপ্তম স্বর্গে পর্তুগালের সাত নম্বর জার্সিধারী।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সের কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিকেও (ইউরোয় ৯টি গোল) গোলসংখ্যার দিক থেকে ছাপিয়ে গেলেন।পরে আরও একটি গোল করায় নিজেকে নিয়ে গেলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। থামতে জানেন না রোনাল্ডো। কোথায় গিয়ে থামবেন তা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। ইউরোয় সর্বোচ্চ গোলদাতার মালিক এখন পর্তুগিজ মহানায়কই। তাঁর নামের পাশে দিনের শেষে লেখা রইল ১১টি গোল। স্কোরলাইন বলছে পর্তুগাল ৩ হাঙ্গেরি ০। দুদ্দাড়িয়ে ইউরো কাপ শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। রোনাল্ডো-মায়ায় ম্লান হলেন মেসিও।
গ্রুপ এফ-কে বলা হচ্ছে ‘গ্রুপ অফ ডেথ’। মারণ গ্রুপে পর্তুগাল, হাঙ্গেরি ছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচটা কঠিন। চ্যাম্পিয়নদের জন্যও এটা ধ্রুব সত্য। সেটাই দেখা যাচ্ছিল শুরুতে। কিন্তু দলটার নাম যে পর্তুগাল। গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তারা জানে ম্যাচ বের করতে হয় কীভাবে। এক হ্যাঁচকা টানে ম্যাচের রাশ রোনাল্ডোরা নিয়ে নিলেন নিজেদের হাতে। ম্যাচের বয়স তখন ৮৪ মিনিট।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের ভারতীয় দল, বাদ মায়াঙ্ক-শার্দূল]
প্রথমার্ধে হাঙ্গেরি নিজেদের ডিফেন্স জমাট করেই খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরোয় ফেরেঙ্ক পুসকাসের দেশ। পর্তুগালের ডিফেন্সে আক্রমণ তুলে আনে একাধিকবার। অন্যদিকে হাঙ্গেরির গোলকিপার পিটার গুলাকসি হতাশা বাড়াচ্ছিলেন পর্তুগিজদের। অপেক্ষায় রাখছিলেন রোনাল্ডোদের। হাঙ্গেরির পেনাল্টি বক্সে আক্রমণ তুলে আনলেও গুলাকসির গ্লাভস জোড়া থামিয়ে দিচ্ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। বুদাপেস্টের ভরা স্টেডিয়ামে নিজেদের মেলে ধরে হাঙ্গেরি। পর্তুগালের শেষ প্রহরী রুই প্যাট্রিসিওকেও একাধিকবার পরীক্ষায় ফেলেন শন-জালাইরা। একবার তো শনের গোল অফসাইডের অজুহাতে বাতিল করে দেন রেফারি। অবশ্য তার আগে পেনাল্টি পেতেও পারত পর্তুগাল। রোনাল্ডো আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তাঁর আবেদনে আর কর্ণপাত করেননি রেফারি।
চ্যাম্পিয়ন দল গিয়ার বদলায় ৮৪ মিনিটে। রাফায়েল গোল করে এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। তিন মিনিটের মধ্যে পোনাল্টি থেকে রোনাল্ডো ব্যবধান বাড়ান। এর খানিক বাদেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে হাঙ্গেরির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন ‘সিআর ৭’। তিনি যে গৃহস্থের গর্ব, পড়শির ঈর্ষা।