ফ্রান্স-২ (বেঞ্জিমা ২)
পর্তুগাল-২ (রোনাল্ডো ২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোয় (Euro 2020) ‘গ্রুপ অফ ডেথ’-এর শেষ ম্যাচে পর্তুগাল ও ফ্রান্সের খেলা ২-২ গোলে শেষ হল। গ্রুপে শীর্ষে থেকে নক আউটে গেল ফ্রান্স। দ্বিতীয় হয়ে পরের পর্বে পৌঁছল জার্মানি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল (Portugal) তৃতীয় স্থানে শেষ করেও নকআউটের পাসপোর্ট জোগাড় করে নিল। ছ’টি গ্রুপের থেকে চারটি তৃতীয় স্থানাধিকারী দল নকআউটে জায়গা করে নিল। পর্তুগাল তাদের মধ্যে অন্যতম। শেষ ষোলোয় পর্তুগালের সামনে এবার বেলজিয়াম।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) একের পর এক নজির গড়ে চলেছেন এবারের ইউরো কাপে। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার মিশেল প্লাতিনিকে। ইউরোতে এতদিন প্লাতিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। রোনাল্ডো প্রথম ম্যাচেই নিজেকে নিয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে গোল করে আলি দায়িকে ছুঁলেন তিনি। ইরানের আলি দায়ি ১০৯ টি আন্তর্জাতিক গোল করে এতদিন সবার উপরে ছিলেন। পর্তুগিজ মহানায়ক তাঁকে ছুঁয়ে ফেলেন পুসকাস স্টেডিয়ামে। সেই সঙ্গে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজেকেও টপকে গেলেন। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ক্লোজের গোলসংখ্যা ছিল ২০। দুটো টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ‘সিআর সেভেন’-এর গোলসংখ্যা এখন ২১।
[আরও পড়ুন: Euro Cup 2020: হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে হার বাঁচিয়ে ইউরোর নকআউটে জার্মানি]
ফ্রান্সের (France) বিরুদ্ধে পর্তুগালকে ৩০ মিনিটে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। আবার দল যখন পিছিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয় পেতে শুরু করেছে তখনও ত্রাতা সেই রোনাল্ডো। তাঁর দুটো গোলই পেনাল্টি থেকে। প্রথমার্ধে ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিস বল বের করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সংঘর্ষে লুটিয়ে পড়েন পর্তুগালের দানিলো। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রেফারির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। গোললাইন থেকে পেনাল্টি স্পট–পৃথিবীর রহস্যময় সরণী। রোনাল্ডো সাধারণত পেনাল্টি থেকে গোল মিস করেন না। লরিসকে পরাস্ত করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন ‘সিআর ৭’।
বিরতির ঠিক আগে করিম বেঞ্জিমা পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ফ্রান্সের হয়ে। এমবাপে পেনাল্টি আদায় করে নেন। সেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বেঞ্জিমার এটাই প্রথম ইউরোয় গোল। সেই গোল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল ফ্রান্সের স্ট্রাইকারের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন বেঞ্জিমা। এর পরে আবার রোনাল্ডো ম্যাজিক। তিনি নিজেই পেনাল্টি আদায় করেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মহানায়ক। তার পরে কোনও দলই আর গোল করার তাগিদ দেখায়নি।