shono
Advertisement

রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পদ, ভারতের হয়ে সওয়াল বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।
Posted: 01:39 PM Jan 15, 2024Updated: 01:41 PM Jan 15, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস‌্যপদ চেয়ে এবার জোরাল সওয়াল করলেন বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইভিয়াস লেটারমি। একইসঙ্গে ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। লেটারমির দাবি, মোদির নেতৃত্বেই ভারতের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অগ্রগতি হয়েছে। যার ফলে বিশ্বব‌্যাপী স্তরে ভারতের স্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থিতিশীল হওয়া উচিত। ইউএনএসসি তথা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন সেই নিরিখেই। আর যদি তা হয়, তাহলে পরিষদের বৈধতা এবং তাৎপর্য আরও বাড়বে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইউরোপ ইকোনমিক করিডর’ তথা আইএমইসি-রও স্তুতি করেছেন। বিশেষ করে এর সঙ্গে চিনের ‘বেল্ট অ‌্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর তুলনা টেনে বুঝিয়েছেন প্রথমটির গুরুত্ব। তবে শুধু ভারতই নয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো বহুস্তরীয় কাঠামোর আওতায় বিশ্বের অন‌্যান‌্য আরও উন্নয়নশীল দেশেরও আসা উচিত বলেই মন্তব‌্য লেটারমির। যেমন ব্রাজিল, আফ্রিকার কিছু দেশ প্রভৃতি।

[আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে বন্ধু ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিদের তাণ্ডব, ভারতে তেলের দামবৃদ্ধির আশঙ্কা]

তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকাণ্ডের বৈধতা উন্নীত হবে, যদি ভারত এবং ব্রাজিলের মতো দেশ এর সদস‌্য হয়। এই পদক্ষেপে পরিষদ আরও বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে উঠবে। বিশ শতকের পরিকাঠামো কিংবা চিন্তাধারা দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর সমস‌্যার সমাধান করা যায় না।” মোদির প্রশংসায় বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব‌্য, ‘‘ভূ-রাজনৈতিক জগতে ভারতের উত্থানের সব কৃতিত্ব ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। নিঃসন্দেহে ভারত এই ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। গত কয়েক বছরে মোদির নেওয়া কর্মসূচিরই ফল এই দেশের এই উত্থান।’’

উল্লেখ্য, আধুনিক দুনিয়ায় সময়ের দাবি মেনে পরিষদে সংস্কারের পক্ষে বারবার সওয়াল করে এসেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সভাপতি সাবা করোসি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবা করোসি বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মনে করে, পরিষদে আরও ভাল প্রতিনিধির প্রয়োজন রয়েছে। এমন দেশের প্রয়োজন রয়েছে যারা শান্তিস্থাপন ও মানুষের উন্নতির বৃহত্তর দায়িত্ব বহনে সক্ষম। ভারতও এমন একটি দেশ। সার্বিকভাবে বিশ্বের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে পারে বলেই বিশ্বাস ভারতের।” ইতিমধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া নয়াদিল্লির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু বাদ সেধেছে চিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement