সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদী লাড্ডুতে গরুর চর্বি ও মাছের তেল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফুঁসে উঠেছে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ। চরম বিতর্কের মাঝে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি। সেখানে তিনি নালিশ করেছেন, অন্ধ্রপ্রদশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে' তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন। চন্দ্রবাবু নাইডুকে 'মিথ্যেবাদী'ও বলেছেন তিনি। এই বিষয়ে মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা।
জগন মোহনের বক্তব্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। চিঠিতে লিখেছেন, ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের কোটি কোটি ভক্ত শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে রয়েছে। তিরুপতির লাড্ডু নিয়ে অভিযোগ বিপজ্জনক হতে পারে। বড় ঝামেলা বাঁধতে পারে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অন্ধপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "ভক্তদের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সত্যটাকে আলোতে আনুন।" চিঠিতে লেখা হয়েছে, "এটা প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছড়ানো একটি মিথ্যা। এই মিথ্যা প্রচারে গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।"
জগন্মোহনের বক্তব্য, তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট টিটিডি একটি স্বাধীন বোর্ড। যেখানে বিশিষ্ট ভক্তরা রয়েছেন। বাকিরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সুপারিশ করা সদস্য। এটা লক্ষণীয় যে টিটিডি বোর্ডের বর্তমান সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন বিজেপির সঙ্গেও যুক্ত। টিটিডি-এর প্রশাসনের তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা বোর্ড অফ ট্রাস্টির হাতেই রয়েছে। অর্থাৎ তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের বিষয়গুলি পরিচালনায় অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সরকারের সামান্যই ভূমিকা রয়েছে।
জগন মোহন আরও জানান, মন্দিরে সব সময়েই ঘিয়ের গুণমানের দিকে নজর রাখা হয়েছে। একাধিকবার খাদ্য দ্রব্যগুলির ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে নিয়ম মতো। তারপরেই তা ব্যবহার করা হয়েছে প্রসাদের জন্যে। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে ঘিয়ের আস্ত কন্টেনার বাতিল করা হয়েছে, গুণমান নিয়ে সন্দেহ হওয়ায়। চন্দ্রবাবু নাইডুর বক্তব্যকে সামাজিক দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।