বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দিন দুই পর শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharya)। শুক্রবার বিকেলের আগেই সুখবর শোনালেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানতে চেয়েছেন দীর্ঘদিনের সঙ্গী ‘তপনবাবু’র কথা। এই মুহূর্তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিন বিকেল নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বেলা ১১.৩০ নাগাদ ধীরে ধীরে ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তী দু’ঘণ্টা ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে তিনি শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন কি না, রক্তচাপ কিংবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কি না, এসবই নজরে ছিল চিকিৎসকদের। শেষপর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেই বুলেটিনে জানিয়েছেন তাঁরা। আপাতত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আরও বেশ খানিকটা সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের, খারিজ উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া]
শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি হন ৭৬ বছর বয়সি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিনেও তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে খুব আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। তবে বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকায় উডল্যান্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আজই তাঁকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তার গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ]
বিকেলের দিকে সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হল। হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্ত্রী ও মেয়ে বেশ স্বস্তিবোধ করেছেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তাও বলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।