সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) বা ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। সেইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে একশো শতাংশ ভিভিপ্যাট পরীক্ষারও দাবি উঠল। এতদিন বিরোধীরা এই দাবি জানিয়েছেন। এবার একই অভিযোগ শোনা গেল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আমলাদের গলাতেও।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত ‘দ্য সিটিজেনস কমিশন অন ইলেকশন’ নামে একটি সংগঠনের তরফে শনিবার দাবি করা হয়েছে, ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। সংগঠনের তরফে এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষস্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত আমলা তথা প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার। ভারচুয়ালি যোগ দেন সংগঠনের সভাপতি তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর, সহ সভাপতি প্রাক্তন আমলা ওয়াজাহাত হবিবুল্লা, অবসরপ্রাপ্ত আমলা সুন্দর বুররা ও এম জি দেবসহায়ম। জহর সরকার বলেন, “ইভিএম ফুলপ্রুফ নয়। এতে কারচুপি সম্ভব। তাই ইভিএমের পাশাপাশি একশো শতাংশ ভিভিপ্যাট পরীক্ষা করা উচিত।”
[আরও পড়ুন : একদিনে কলকাতার তাপমাত্রা কমল ৩ ডিগ্রি, ফের জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে?]
ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ‘দ্য সিটিজেনস কমিশন অন ইলেকশন’। দিল্লি আইআইটি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ড. সঞ্জীব প্রসাদের তত্ত্বাবধানে এই সমীক্ষা হয়েছে। সংগঠনের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক নিয়মনীতিগুলির আবশ্যিক শর্ত হল ভোটদানের প্রক্রিয়াটি যেন ভোটদাতার কাছে সহজবোধ্য হয়। ভোটার যেন নিজের ভোট যাচাই করে নিতে পারেন। প্রযুক্তির ব্যবহার হলেও যে সেক্ষেত্রে সামান্য ভুলও যেন না থেকে যায়। বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলিও নির্বাচনের সময় ইভিএম ব্যবহার না করাই উচিত বলে মনে করে।
এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে সাইড চ্যানেল থেকে আক্রমণ এলে অর্থাৎ তড়িৎচুম্বক ও অন্যান্য পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রকৌশলকে হ্যাক করা হলে, তা ঠেকাবার ব্যবস্থা কমিশন করেনি। এছাড়া ইভিএমের মধ্যে যে প্রসেসর চিপটি রয়েছে সেটি কেবল একবারই প্রোগ্রাম করার উপযুক্ত কিনা তাও সন্দেহজনক। এসব কারণেই ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ‘দ্য সিটিজেনস কমিশন অন ইলেকশন’। পাশাপাশি ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের বক্তব্য, সময়ের কারণ দেখিয়ে ভিভিপ্যাট স্লিপ গুনতে চায় না নির্বাচন কমিশন। অথচ আগে যখন ব্যালট ব্যবস্থা চালু ছিল তখন কম সময়েই তা গণনার কাজ করা সম্ভব হত। ফলে কমিশনের যুক্তি খাটে না। যদিও ইভিএমকে অনেক আগেই ক্লিন চিট দিয়েছে কমিশন।