অর্ণব আইচ: পারিবারিক বিবাদ, মানসিক চাপ। জোড়া টেনশন সামলাতে না পেরে রাগ গিয়ে পড়ল ছেলের উপর। নিজেদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে ছেলেকে হত্যার চেষ্টায় আটক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। বেহালার (Behala) সরশুনার নস্করপাড়া এলাকার ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটিও। তদন্তে নেমছে সরশুনা থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, সরশুনার বাসিন্দা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক (Ex Millitary man) প্রবীণ কুমার বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। তাঁর পরিবারে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। কিছুতেই সমাধান করতে পারছিলেন না। তাঁর মদ্যপানের প্রবণতাও বাড়ছিল। প্রায় রোজই মদ্যপ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। যার রেশ গিয়ে পড়ে ছেলের উপর। বাবা-ছেলের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়া হয় বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি, ছড়াল তীব্র আতঙ্ক]
এরপরই নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোনলা বন্দুকটি (Double barrel gun) বের করে তিনি খুনের হুমকি দিতে থাকেন। তবে কারও নাম করেননি। তা দেখে বছর তেইশের ছেলে পবন কুমার ভীত হয়ে পড়েন। তিনি বাবাকে বাধা দেন। বাবার হাত থেকে বন্দুকটি কেড়ে নিতে গেলেই বিপত্তি ঘটে। ১২ বোরের বন্দুকটি প্রবীণবাবুর হাত থেকে ছিনিয়ে নিতেই ছররা গুলি ছিটকে বেরিয়ে আসে। পবনের পায়ে তা লাগে। তিনি লুটিয়ে পড়েন। এরপরই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে প্রথমে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করান। সেখান থেকে এসএসকেএমে (SSKM) স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে আজ তাঁর অপারেশন হবে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: চোরদের টার্গেট রাজধানী এক্সপ্রেসের শৌচালয়ের কল! ২৯ টি কল চুরিতে আরপিএফের জালে চার]
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবীণ কুমার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। বছর পাঁচেক আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক আছে তাঁর কাছে। সেটি ১২ বোরের দোনলা বন্দুক অর্থাৎ বেশ শক্তপোক্ত। এই বন্দুকে প্রচুর ছররা গুলি ছিল। বাবা-ছেলের বচসার মাঝে আচমকাই বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। নস্করপাড়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সরশুনা থানার পুলিশ খবর পেয়ে প্রবীণ কুমারকে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।