সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুমুরজলার মঞ্চ থেকে ফের একবার পরিবর্তনের ডাক দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। স্লোগান তুললেন ‘চলুন পালটাই’। একইসঙ্গে নাম না করেই নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
রাজ্যের বেকারত্ব ইস্যু থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের বঞ্চনা, একের পর এক প্রসঙ্গে শাসকদলকে কার্যত তুলোধোনা করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাজ্যে সংখ্যালঘুদের বিজেপির নামে ভয় দেখানো হয়। অথচ সংখ্যালঘুদের জন্য রাজ্যের শাসকদল কোনও কাজই করেনি। তাঁদের উন্নয়ন হয়নি।” একই সঙ্গে সকলকে নিয়ে ‘সোনার বাংলা’ তৈরির ডাক দিলেন রাজীব।তাঁর কথায়, “২০১১ সালে রাজ্যে আসল পরিবর্তন হয়নি। এবার হবে আসল পরিবর্তন।”
[আরও পড়ুন : হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ দিব্যেন্দু অধিকারীকে, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে]
দিল্লি গিয়ে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজীব-সহ পাঁচ তৃণমূল নেতা। তারপরই থেকেই ডুমুরজলার হাইভোল্টেজ সভার দিকে নজর ছিল সকলের। সেই সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে বাম ও তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন রাজীব। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। গত ৩৪ বছর ধরে বাম সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখেনি। ক্ষমতায় আসার পর সেই ধারা বজায় রাখল তৃণমূলও।” তাই কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকারকে ক্ষমতাসীন করার ডাক দিলেন রাজীব। তাঁর কথায়, “বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে।”
[আরও পড়ুন : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সবং, বোমাবাজি-মারধরে জখম ৮]
পাশাপাশি পুরনো দলের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী-দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়েও সরব হয়েছেন রাজীব-শুভেন্দু। যৌথভাবে তাঁদের অভিযোগ, গত ১০ বছরে রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্পের সুবিধা পায়নি আমজনতা। তাই এবার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প আনতে হচ্ছে। পাড়ায়-পাড়ায় সমস্যা ছিল এতদিন। তাই এখন সেই সমস্যা সমাধান করতে পাড়ায়-পাড়ায় সমাধান করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ‘ভোট কার্ড’ বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সভার শুরুতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “২০০৪ সালে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই শুরু করেছিলাম। উনি বিজেপিতে আসায় সেই বৃত্ত এবার সম্পূর্ণ হল।”