সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পরিস্থিতি। এবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানালেন তিনি। সোমবার নিজের দায়ের করা পিটিশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের সমস্ত অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে লেখা চিঠির জন্য তাঁকে যেভাবে হোমগার্ডে বদলি করা হয়েছে, সেটিও চ্যালেঞ্জ করেছেন পরমবীর।
এদিকে, এই ঘটনায় আবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। স্পষ্ট জানালেন, মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত থেকে নজর ঘোরাতেই মিথ্যে অভিযোগ আনছেন পরমবীর সিং। পওয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, যে সময়ের কথা পরমবীর সিং বলছেন, সেসময় অনিল দেশমুখ হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। নজর ঘোরাতেই মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন পরমবীর। প্রবীণ এই রাজনীতিকের কথায়, “মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্তই এখন মুখ্য। বিশেষ করে সন্ত্রাসদমন শাখা যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কারা ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনকে খুন করেছে। তদন্ত সঠিক পথেই চলছে। সেই তদন্ত থেকে নজর ঘোরাতেই এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ।”
[আরও পড়ুন: ‘অহিন্দুদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নয়,’ উত্তরাখণ্ডের ধর্মস্থানের সামনে ব্যানারে বিতর্ক]
সম্প্রতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করছিলেন পরমবীর। কিন্তু নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরমবীরকে সরিয়ে দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ। বদলি করা হয় হোমগার্ডে। এর কয়েকদিনের মধ্যেই চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন পরমবীর। জানান, ধৃত সচীন ওয়াজেকে ব্যবহার করে মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির ব্যবস্থা করেছিলেন দেশমুখ। মূল্য হোটেল-রেস্তরাঁ-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ৪০ কোটি টাকা তোলার ব্যবস্থা হয়েছিল। বাকি ৬০ কোটি অন্য উপায়ে জোগার হত বলে জানান পরমবীর। তাঁর দাবি, খোদ ওয়াজে তাঁকে একথা জানিয়েছিলেন। তিনি আর আগেও উদ্ধব ও শরদ পওয়ারকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আর এবার সরাসরি সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করলেন পিটিশন।