সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও সংকটে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়৷বাজপেয়ীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে খবর৷ প্রায় দুই মাস ধরে দিল্লি এইমসে ভরতি এনডিএ-র প্রথম প্রধানমন্ত্রী৷ মূত্রনালীতে সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তিনি৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টে তো ভুগছেনই, বাজেপেয়ী আবার ডায়বেটিসে আক্রান্ত৷ তাই চিকিৎসায় তেমন সাড়া দিচ্ছেন না তিনি৷ মাল্টি অর্গান ফেলিওর-এর আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷
[অত্যাধুনিক ট্রেন আনতে চলেছে রেল, কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মীরা]
[বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে মোদি]
বাজপেয়ীকে দেখতে বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভাল তাঁর ৷ দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাজপেয়ীর৷ বৃহস্পতিবার সকালে এইমসে গিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ প্রিয় নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সকালেই হাজির হন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও৷ দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে কাটান তিনি৷ কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে৷ মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অবনতির হওয়ায় ফের হাসপাতালে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতার দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বুধবার সন্ধ্যায় এইমসে গিয়েছিলেন মোদি৷
মোদির হাসপাতালে যাওয়ার কিছু পরই রাতে এইমসের তরফে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়৷ জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় অলবিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি হয়েছে৷ অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে, তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে৷ বুধবার রাত থেকে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ৷ অন্যদিকে, বাজপেয়ীর আরোগ্য কামনায় দিল্লিতে যজ্ঞের আয়োজন শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷
[উত্তোলনের আগেই নামল তেরঙ্গা, বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে অমিত শাহ]
১৯৯৬-তে প্রথম ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন বাজপেয়ী। এরপর দ্বিতীয়বারের জন্য ১৯৯৮-তে ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন বাজপেয়ী। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তাঁরই প্রধানমন্ত্রীত্বে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ছিল বিজেপি তথা এনডিএ জোট। এই দীর্ঘ সময় অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তাঁর সময়ের সবথেকে জ্বলন্ত ইস্যু ছিল কার্গিল সমস্যা। এই সময় কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি হামলা থেকে শুরু করে পাক সেনার গুলি বর্ষণের মতো ঘটনা। দক্ষ হাতে একের পর এক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করেছেন বাজপেয়ী। তাঁর আমলেই ভারত-পাক মৈত্রীর নয়া যোগসূত্রের সূচনা হয়। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস চালানোর উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালের এপ্রিলে তাঁর উদ্যোগেই দিল্লি থেকে লাহোরের উদ্দেশে রওনা হয় সমঝোতা এক্সপ্রেস।
The post চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না বাজপেয়ী, দিল্লি যাচ্ছেন মমতা appeared first on Sangbad Pratidin.