দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ, ভয়ানক ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন এক আইনজীবী। তারপরই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে পট্টনায়েককে নিযুক্ত করল শীর্ষ আদালত। এই তদন্তে বিচারপতি পট্টনায়েককে সাহায্য করবে সিবিআই, আইবি ও দিল্লি পুলিশ।
[নির্বাচনী পারদ চরছে রাজস্থানে, পদ্মিনী-মীরাবাঈকে ভুলে তুঙ্গে পুলওয়ামা চর্চা]
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বিশেষ বেঞ্চ জানায়, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগের তদন্ত করবেন পট্টনায়েক। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগটি সম্পূর্ণ অন্য বিষয়। বিচারপতি পট্টনায়েকের পেশ করা রিপোর্ট কোনওভাবেই শীর্ষ আদালতের অভ্যন্তরীণ তদন্তকে প্রভাবিত করবে না। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছিলেন দিল্লির আইনজীবী উৎসব বেইন্স। তিনি বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতিকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে মামলা লড়ার জন্য তাঁকে দেড় কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারপরই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের আরজি জানান তিনি। সবমিলিয়ে, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় দেশের বিচারব্যবস্থা। উত্তেজনার চোরা স্রোত বইছে শীর্ষ আদালতের অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে জনতার শেষ ভরসা একজন বিচারপতির স্বচ্ছতা নিয়ে।
উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে কি না খতিয়ে দেখতে সিবিআই-এর দুই যুগ্ম অধিকর্তা, দিল্লি পুলিশ প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্সি ব্যুরোর কর্তাকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের ‘বিচারপতিদের চেম্বারে’ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্তে তৈরি হয়েছে এই বেঞ্চটি। তাতে রয়েছেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং বিচারপতি দীপক গুপ্ত।
বুধবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, “যদি আইনজীবী দাবি করেন যে এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে তাহলে সেই বিষয়টির গোড়ায় যাওয়া দরকার। আর তাই এই বিষয়টির তদন্ত আমরা করব। তা না হলে শুধুমাত্র আমরা নয়, সুপ্রিম কোর্টও বাঁচবে না।” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ যখন সামনে এসেছে তখন কি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের চোখ বন্ধ করে থাকা উচিত? তিনি বলেন, তা হলে সমস্ত দেশ বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে। যদিও এদিন উৎসবের হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হলফনামা পেশ করে অভিযোগ করতে পারলে আদালতে সেই সংক্রান্ত প্রমাণ কেন দিতে পারবেন না? এছাড়াও বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। ওই কমিটির অধীনে তদন্ত খতিয়ে দেখা হবে।
[১.৫ কোটির সাদা ঘোড়ায় চেপে প্রচার করছেন দিনমজুর প্রার্থী]
The post রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’, তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি appeared first on Sangbad Pratidin.