‘বাঘা যতীন’-এর মতো সিনেমায় সুপারস্টার দেবের নায়িকা। বড়পর্দায় ডেবিউ নিয়ে কতটা এক্সাইটেড আর কতটা নার্ভাস সৃজা দত্ত? জানালেন শম্পালী মৌলিককে।
বড়পর্দায় তোমার ডেবিউ। কতটা নার্ভাস আর কতটা এক্সাইটেড?
নার্ভাস তো ডেফিনেটলি আছি কারণ এটা আমার প্রথম ছবি আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে অভিনয় করেছি। কে জানে কেমন করেছিল। তার উপরে দর্শক আমাকে প্রথমবার পর্দায় দেখবেন। কার কেমন লাগবে…তাই এক্সাইটমেন্টের লিমিটটা সবকিছু ক্রস করে গিয়েছে। কারণ যবে থেকে শুটটা শুরু হয়েছিল আমি তবে থেকেই এই দিনগুলোর অপেক্ষা করছিলাম। তাই খুবই এক্সাইটেড। আমি খুশি। একটা খুব সুন্দর সময় চলছে।
এবারের পুজো তো তোমার কাছে স্পেশাল হয়ে গেল। এই প্রথম তোমার পুজোর ছবি। দেবের তরফ থেকে অফারটা কীভাবে এল?
এটা অফার হিসেবে আসেনি। আসলে আমাদের অডিশন হয়েছিল। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছিল এরকম রিকয়ারমেন্ট। তারপর ৬-৭ হাজার এন্ট্রি পড়েছিল। সেখান থেকে ওনারা শর্টলিস্ট করে গ্রাউন্ড অডিশনে ডেকেছিলেন দুজনকে। তার মধ্যে আমি লাকি, শর্টলিস্ট হয়ে গিয়েছিলাম। তার পর ওখান থেকে টপ ফাইভে। আস্তে আস্তে স্ক্রিনটেস্ট হয়ে, সমস্ত কিছু হয়ে সিলেক্ট হই। লম্বা প্রসেস।
সত্যিই তাই! আচ্ছা তুমি তো পড়াশোনা করছিলে।
এখনও পড়ছি। ফার্স্ট ইয়ার থেকে সবে সেকেন্ড ইয়ারে উঠেছি। আর আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি। আমার স্ট্রিম ইলেকট্রনিক্স আর কম্পিউটার সায়েন্স। হ্যা, পড়াশোনাটাও পুরোদমে হচ্ছে। আমি এখনও কলেজ যাই যেদিন আমার কাজ থাকে না।
[আরও পড়ুন: ‘এক রাতেই সব পালটে গেল…’, ইজরায়েলের বিভীষিকাময় দিনের কথা নুসরতের মুখে ]
মা-বাবা কী বলছেন?
মা আর বাবা খুবই খুশি। ওঁরা চান, যাতে আমি দুটো দিক সামলেই এগিয়ে যেতে পারি। অভিনয় যেহেতু আমার নতুন একটা সাইড বলতে পারো। সেটাও যেন ভাল করে করি। আবার পড়াশোনাটাও যেন ঠিক করে হয়ে যায়। তো ভীষণ সাপোর্টিভ আর ভীষণ খুশি।
পিরিয়ড পিস, অরুণ রায়ের পরিচালনা, দেবের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা—এত কিছু ম্যানেজ করলে কীভাবে? শুরুতে কি দেবকে দেখে একটু ভয় লেগেছিল?
হ্যাঁ, মিথ্যে বলব না। ভয়টা লাগছিল কারণ আমরা সবাই জানি ও সুপারস্টার। তো সেই হিসেবে তখন ভাবছিলাম আমার প্রথম কাজ এমন একটা মানুষের সঙ্গে হচ্ছে। তো তখন ভয় লেগেছিল। কিন্তু দেবদা আর যাঁরা ছিল, মানে তুমি বললে যে এত কিছু কীভাবে হল, কারণ সবাই সাপোর্টিভ ছিল। যত বড় মানুষ, তত বড় মন। অরুণ স্যার বলো, সুদীপ্তাদি বলো, দেবদা বলো, দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের পুরো টিম, ‘বাঘা যতীন’-এর পুরো ডিরেক্টোরিয়াল টিম সবাই খুব সাহায্য করেছে। প্রথম দিন থেকে সব বুঝিয়ে দিত। প্রত্যেকে খেয়াল রাখত। মনের সাহসটা খুব দিত সবাই মিলে। সেখান থেকেই এটা সম্ভব হল।
অভিনয়ের জন্য কোনও টিপস সুদীপ্তাদি বা দেবের থেকে নিয়েছ?
আমার বেশিরভাগ সিন দেবদার সঙ্গেই ছিল। প্রত্যেক শটে বুঝিয়ে দিত এটা এভাবে বলো, ওটা ওভাবে করো। আর প্রত্যেকটা সংলাপ বলার সময় সেগুলো আগে আমি সুদীপ্তাদিকে বলে শোনাতাম। জানতে চাইতাম, ঠিক লাগছে তো? খুব হেল্প করেছে ওরা।
কলেজের বন্ধুরা কী বলছে?
কলেজের বন্ধুরা তো খুব এক্সাইটেড। ভাবতেই পারছে না যে আমি কলেজ পড়তে পড়তেই এত বড় একটা সিনেমায় সুযোগ পেয়ে গেলাম। ওরা খুবই খুশি। পুরো একটা হল বুক করে নাকি প্ল্যান করেছে দেখবে। নানা প্ল্যান করেছে।