গৌতম ভট্টাচার্য: ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ মানেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। রচনা ছাড়া এই গেম শোয়ের মঞ্চ জমাতে পারেন না কেউই। অন্তত দর্শকরা সেটাই মনে করেন। তাই তো ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এই শো একেবারেই রচনাময়। এই গেম শো থেকে একটুও ব্রেক নেওয়ার ফুরসৎ নেই অভিনেত্রীর। একবার ব্রেক নিয়েছিলেন রচনা, তখন তাঁর জায়গায় সঞ্চলনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জুন মালিয়া এবং তারপরে দেবশ্রী রায়ও। তবে দর্শকদের মন কাড়তে পারেননি তাঁরা। তাই শেষমেশ দিদি নাম্বার ওয়ানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েই এগিয়ে চলেছেন রচনা। আর অনুষ্ঠানের টিআরপি রোজ ঊর্ধ্বমুখী!
অভিনেত্রীরা যদি টেলিভিশনে মুখ দেখান, তাহলে নাকি কিছুটা জনপ্রিয়তা কমে যায় তাঁদের। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত একথাকে একবারে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন রচনা। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রচনা জানিয়েছেন, ‘আমার টেলিভিশনের পর্দায় আসা ২০১০ সালে ডান্স বাংলা ডান্স শোয়ে বিচারক হয়ে। জি বাংলার তরফ থেকে আমাকে অনেক বোঝানো হয়। তারপর আমি হ্য়াঁ করি। সেই শোয়ের পরই শুধু আমাকে নিয়ে একটা গেম শোয়ের প্ল্যান করা হয় চ্যানেলের তরফ থেকে। আমাকে নানারকমভাবে অনুরোধ করা শুরু হয়। আমি ঠিক করেই ফেলেছিলাম, টিভির পর্দায় আসব না। কিন্তু অবশেষে রাজি হয়ে গেলাম। আর এখন তো দিদি নাম্বার ওয়ান ইতিহাস। ‘
[আরও পড়ুন: বিয়ের মাত্র কয়েকদিন আগেই হাসপাতালে ছুটলেন অঙ্কিতা লোখাণ্ডে, কী হল অভিনেত্রীর? ]
তার মানে কি টলিউডকে একেবারে ডিভোর্স দিয়ে জি বাংলাকে বিয়ে?
(হেসে ফেলে) সত্য়ি বলতে কী টালিগঞ্জকে ডিভোর্স দিইনি। আমার বেশিরভাগ কাজই বাংলার বাইরে। কেরিয়ারের শুরুটা অবশ্যই বাংলা ছবি দিয়েই। তবে কেরিয়ারের আসল সময়টায় দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেছি। ফিরে এসে অবশ্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে বহু ছবিতে কাজ করেছি। পরে আমি বিয়ে করলাম, ছেলে হল। ছবি কম করাটা আমার চয়েস ছিল। ছেলের জন্যই ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত একেবারেই কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। ছেলে হওয়ার পর কয়েকটা ছবি অবশ্য করেছি। তবে সেরকম ভাল ছবির অফার পাচ্ছিলাম না। তাই নিজেই স্থির করি ছবি থেকে সরে আসব।’ ঠিক এই সময়ই রচনার কাছে হাজির দিদি নাম্বার ওয়ান।
নতুন অনেক পরিচালক এসেছেন টলিউডে। তৈরি হচ্ছে আরবান ছবিও? সেই সব ছবিতে কি রচনাকে দেখা যাবে না? সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জবাব রচনার, ‘পাবলিক রিলেশনটা আমার দ্বারা আর হল না। তবে ভালই তো আছি। পিআর ছাড়াই তো দিদি নাম্বার ওয়ান সফল। আসলে আমি কাউকে ফোন করে বলতে পারব না আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা আমার ইগো নয়। আসলে আমার লজ্জা লাগে কাউকে ফোন করে বলতে, আমাকে একটা কাজ দাও! ‘