অর্ণব দাস, বারাসত: প্রতিদিনই নামী রেস্তরাঁ থেকে গায়েব হচ্ছিল কাসার থালা, বাটি, গ্লাস। নয় নয় করে প্রায় আশি হাজার সামগ্রী চুরি হয়ে যায়। তার পরই বিষয়টি নজরে আসে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের। আজব কাণ্ডের কিনারা করতে অভিযোগ জানানো হয় থানায়। তদন্তে নেমে থ হয়ে যায় পুলিশ। জানা যায়, রেস্তরাঁর নতুন এক কর্মীই বাসন মাজতে এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
ঘটনাটি কলকাতার একটি নামী চেন রেস্টুরেন্টের বারাসত ডাকবাংলোমোড়ের শাখার। সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরেই খোয়া যাচ্ছিল একের পর এক কাসার থালা-বাসন। এইভাবেই প্রায় আশি হাজার টাকার চুরি হওয়ায় সামগ্রী মেলানোর হিসাব করতে বসে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তখনই সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তদন্তে নেমে সুরজ হেলা এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: মদ তৈরির ভাটিতে নেমেই মৃত্যু যুবকের! নেপথ্যে বিষাক্ত গ্যাস?]
পুলিশি জেরার পর জানা যায়, সুরজের বাবা ওই রেস্তরাঁরই কর্মী ছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ার পরে মাস চারেক আগে সুরজ রেস্তরাঁর আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে যুক্ত হয়। ক্রেতাদের খাওয়া শেষ হলে যে উচ্ছিষ্ট অংশ থাকত, সেটি পরিষ্কার করতে এসেই ধৃত প্রতিদিনই হয় কাঁসার থালা, নয় বাটি, নয় গ্লাস কিছু না কিছু চুরি করত। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পর তার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়।
এই বিষয়ে সোমবার বারাসত থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত জানিয়েছেন, যেদিন অভিযোগ হয়েছিল সেদিনই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তার বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তার পর তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে বারাসত থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৈনাক বন্দোপাধ্যায় বলেন, চলতি মাসের চার তারিখ অভিযোগ জানানো হয়। রেস্তরাঁর একাধিক মূল্যবান থালা, বাটি, গ্লাস চুরি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় আশি হাজার টাকা। তদন্তে দেখা যায় সব কর্মচারীই পুরনো। শুধুমাত্র একজন নতুন, বাবার অসুস্থতার কারণে সে বিগত চার মাস ধরে কাজ করছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে। তার বাড়ি থেকেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।