সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আগেই ভারতের বাজারে ছাড়পত্র পেয়েছে কোভিশিল্ড। এবার শর্তসাপেক্ষে ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করল ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। অর্থাৎ দেশের বাজারে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় টিকা হতে পারে ‘সম্পূর্ণ ভারতীয়’ কোভ্যাক্সিন।
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে ফের বৈঠকে বসেছিল ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করার বিষয় কমিটির সদস্যরা সহমত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে কোভিডের সম্ভাব্য টিকা হিসেবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আর তাঁদের সুপারিশ মেনেই কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডিসিজিআই (DCGI)।
[আরও পড়ুন : গোটা দেশেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বিনামূল্যে, ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
সম্পূর্ণ দেশীয় গবেষণায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের (ICMR) যৌথ গবেষণায় তৈরি হয়েছে এই প্রতিষেধকটি। ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়ার পর প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) কর্তারা দাবি করেছিলেন, ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে টিকাটি তৈরি হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে লড়াই। কিন্তু ট্রায়াল শুরুর পর খোদ আইসিএমআরের আধিকারিক দাবি করেন, জুন নয়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই এটি বাজারে চলে আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবে জানুয়ারিতেই বাজারে আসতে পারে এই টিকা।
উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বায়োটেক। এরপর তিন পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই আজ ফের বৈঠকে বসেন তাঁরা। রিপোর্টগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরই প্রতিষেধকটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি।