জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: জটিলতা কাটিয়ে ৮৫ দিন ফের ঘোজাডাঙা (Ghojadanga) স্থলবন্দরে শুরু হচ্ছে ব্যবসা। শনিবার থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যাণ্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস (ই) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শনিবার থেকে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে শুরু হবে ব্যবসা। প্রথমে আটকে থাকা দু’দেশের খালি গাড়ি ফেরত পাঠানো হবে। চালক, খালাসিদের পিপিই (PPE) কিট দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। স্যানিটাইজ করা হবে বাংলাদেশ থেকে আসা ট্রাকগুলিকে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ সীমান্ত বাণিজ্য, বেশ কিছুদিন আগে আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয় পেট্রাপোল সীমান্ত। রাজ্য তাতে আপত্তি না জানলেও ইতিবাচক ইঙ্গিতও দেয়নি। বরং আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিল সংক্রমণ বৃদ্ধির। পরবর্তীতে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। যার জেরে পুনরায় বন্ধ করা হয়েছিল সীমান্ত। জটিলতা কাটতে চলতি মাসের শুরুতে পেট্রাপোল সীমান্ত খোলার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেয় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেল ঘোজাডাঙা বন্দর খোলার বিষয়ে বসিরহাটের মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ, বিএসএফ, শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক ও ব্যাবসায়ীরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় সামাজিক দূরত্ব-সহ সমস্ত রকম নিয়ম মেনে শনিবার থেকে সীমান্ত বাণিজ্য শুরুর।
[আরও পড়ুন: চিনা বর্বরতায় শহিদ রাজেশের শেষকৃত্য বীরভূমে, প্রিয়জনদের সম্বল আলতামাখা পায়ের ছাপ]
প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী, শ্রমিক-সহ বহু মানুষ। সেই কারণেই বাণিজ্য শুরুর দাবি তুলে ঘোজাডাঙ্গা ল্যান্ড পোর্ট সমন্বয় কমিটি মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। ট্রাকের মধ্যে পচনশীল পণ্য নষ্ট হতে শুরু করেছে ও দীর্ঘদিন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে একথা জানিয়ে এসডিও অফিসের সামনে পথসভা করেছিল রপ্তানিকারী ক্লিয়ারিং এজেন্ট, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির শাস্তি, পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল]
The post আনলক ওয়ানেই খুলছে ঘোজাডাঙা সীমান্ত, সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে বাণিজ্য শুরুর সিদ্ধান্ত appeared first on Sangbad Pratidin.