সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৬ মে সিবিআই প্রধান (CBI Director) হিসেবে মেয়াদ ফুরোচ্ছে সুবোধ কুমার জয়সওয়ালের। এর পর ওই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কর্ণাটক পুলিশের ডিজি প্রবীণ সুদ (Praveen Sood)। কেন সিবিআই অধিকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বেছে নেওয়া হল দক্ষিণের রাজ্যের পুলিশের মহানির্দেশককে? বিরোধীদের বক্তব্য, মোদির (PM Narendra Modi) পছন্দের লোক প্রবীণ। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ তিনি। কর্ণাটকে ভোটের দামামা বাজার পরপরই সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার অভিযোগ করেছিলেন, প্রবীণ বিজেপির প্রদেশ সভাপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বা্স্তবেই কি তাই?
জানা গিয়েছে, মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-কে (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রবীণের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের ডিজিদের একটি বৈঠকে প্রবীণ একটি প্রেসেন্টেশন (ট্র্যাকিং ব়্যাডিক্যাল অর্গানাইজেশন: দ্য রোড অ্যাহেড) দেন। যাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন মোদি। ওই বৈঠকে কর্ণাটকের ডিজি দেখিয়েছিলেন, কোন উপায়ে আগামী দিনে মৌলবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্তার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর তাঁর (সুদ) কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সুদ স্পষ্টভাষী। ভারসাম্যের সঙ্গে চলতে জানেন। কট্টরপন্থী সংগঠনগুলিকে মোকাবিলায় যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তাঁর নেতৃত্বে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মোদি-যোগীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ মামলায় স্বস্তি, আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত আজম খান]
প্রবীণ সুদ ছাড়াও সিবিআই কর্তা হিসেবে আরও দু’জনের নাম উঠে এসেছিল। তাঁরা হলেন মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীর সাক্সেনা এবং তাজ হাসান। যদিও শেষ পর্যন্ত মোদির মন জেতা প্রবীণের ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়েছে। উল্লেখ্য, নিয়ম মতো সিবিআই প্রধান নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রের তরফে প্রবীণ সুদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। যাতে আপত্তি তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা। শেষ পর্যন্ত সেই আপত্তি অবশ্য ধোপে টেকেনি। ফলে আগামী দুই বছরের জন্য সিবিআই প্রধান হয়েছেন প্রবীণ।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে খেলা ক্রিকেটারের পরিচয়ে দুই তরুণীদের প্রতারণা, ১৩ লক্ষ টাকা হাতালেন যুবক]
প্রসঙ্গত, দিল্লি আইআইটি-র প্রাক্তণী প্রবীণ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। ১৯৮৬-র কর্নাটক ক্যাডারের আইপিএস। প্রবীণকে তিন বছর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি নিয়োগ করা হয়েছিল। আগামী বছর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও তার পরও CBI-র ডিরেক্টর পদে থাকবেন তিনি। ২০২৫-র মে পর্যন্ত তাঁকে ওই পদে রাখা হবে বলে কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।