সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ’। উত্তরপ্রদেশ (UP Election 2022) কংগ্রেসের অন্দরে নতুন জোয়ার এনেছে এই স্লোগান। কিন্তু এবার দল ছাড়তে চলেছেন এই কর্মসূচির প্রধান মুখ প্রিয়াঙ্কা মৌর্য। অভিযোগ, দলের স্বার্থে তাঁর পরিচিতিকে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। কিন্তু টিকিট দেয়নি। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। আর সেটা হলে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি জোর ধাক্কা খাবে।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহিলা ভোট নিজেদের ঝুলিতে টেনে বিজেপিকে মাত দিতে নীলনক্সা তৈরি করেছে কংগ্রেস (Congress)। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে রাজ্যজুড়ে ‘লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ’ কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। এমনকী, পাঁচ রাজ্যের ভোটে ৪০ শতাংশ মহিলা নির্বাচনের টিকিট পাবেন বলেও ঘোষণা করেছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। এই প্রচারের মাঝেই ক্রমশ কাঁটা হয়ে কংগ্রেসের গলায় বিঁধছেন প্রিয়াঙ্কা মৌর্য (Priyanka Maurya)।
[আরও পড়ুন: এই না হলে জামাই আদর, মেয়ের বাগদত্তাকে ৩৬৫ রকমের পদ রেঁধে খাওয়ালেন হবু শাশুড়ি]
নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে দল এবং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস আমার নাম-পরিচিতিকে ব্যবহার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ১০ লক্ষ ফলোয়ার, সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছে ওরা। যখন বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়ার কথা উঠল, তখন সেটা পেল অন্য কেউ। এটা আমার প্রতি অবিচার। সবকিছুই আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে নেতৃত্ব।”
এতদিন অনগ্রসর শ্রেণিকে অবহেলার অভিযোগ উঠছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে দল ছাড়ছিলেন একের পর এক নেতা-মন্ত্রী। এবার অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি হওয়ার দরুন ভোটের টিকিট পাননি বলে অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মৌর্য। তাঁর কথায়, “আমি অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিংকে ঘুষও দিতে পারিনি। তাই আমাকে টিকিট দেওয়া হল না।”
[আরও পড়ুন: বয়স তো সংখ্যামাত্র! ৯০ বছরের আইনজীবী সারলেন বিয়ে, কনের বয়স মোটে ৪০]
ভোটের মুখে জনপ্রিয় নেত্রীর এধরনের অভিযোগে কার্যত বিপাকে কংগ্রেস। ধাক্কা খেয়েছে দলের অন্যান্য মহিলা নেতা-কর্মীদের মনোবলও।অভিযোগ উঠছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাস্তবে তা পালন হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সরিতা আর্য বলেন, “লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ(ladki hoon, lad sakti hoon), আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। মনে করছিলাম, রাজ্যের ২০ শতাংশ আসনে প্রার্থী হবেন মহিলারা।এখন আমার সহকর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করছেন, প্রিয়াঙ্কাই যেখানে টিকিট পাননি, তাহলে আমরা কীভাবে পাব?”
লখনউয়ের কুরশি দখলের জন্য মহিলা ভোটারদের টার্গেট করছিল কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে দলের জনপ্রিয় নেত্রীর এহেন বিদ্রোহ তাঁদের খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে যে পাঠিয়ে দিল, তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।