সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক নিয়ম ভাঙার অভিযোগ। সেইসঙ্গে হিংসাত্মক বিভিন্ন ঘটনা ছড়ানোর জন্য এবার মায়ানমার সেনার (Myanmar Military) মূল পেজই সরিয়ে দিল ফেসবুক (Facebook) কর্তৃপক্ষ। রবিবারই মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
মায়ানমার সেনাকে ডাকা হয় Tatmadaw নামে। কিন্তু হিংসাত্মক বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার এবং ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের পেজটিকেই এবার সরিয়ে দিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ফেসবুকের এক প্রতিনিধির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বব্যাপী আমাদের যে নীতি রয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই Tatmadaw True News Information টিমের পেজটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পেজ থেকে বারংবার হিংসাত্মক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে, যা ফেসবুকের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে এবং হিংসা-উসকানি ছড়ায়। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি মায়ানমার সেনার পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: হাতিয়ার সেই আত্মনির্ভরতা! ১০০ শতাংশ ‘Made in India’ মোবাইল আনল Motorola]
এর আগে শনিবারই সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে পথে নামা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ল মায়ানমারের সেনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। জখম কমপক্ষে ৩০ জন। ঘটনার সময় মান্দালয় শহরের বন্দরের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় সেখানে প্রচুর পুলিশ ও সেনাকর্মীরা জড়ো হয়। হঠাৎই পুলিশ-সেনাকর্মী জমায়েত করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মান্দালয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রেপ্তার করা হতে পারে, এই আতঙ্কে ঘরের ভিতর থেকে পুলিশ ও সেনাকর্মীদের লক্ষ্য করে বাসনপত্র ছুঁড়তে শুরু করে। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরাও। পালটা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ ও সেনা। তাজা কার্তুজের পাশাপাশি রাবার বুলেটও ছোঁড়া হয়। এতে মৃত্যু হয় দু’জনের।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর আং সান সু কি ও গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এক বছরের জন্য দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। মায়ানমারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে অহিংস প্রতিবাদের অধিকার সবই কেড়ে নিয়েছে সামরিক জুন্টা। তারপর থেকেই রাজধানী নাইপিদাও ও ইয়াঙ্গন-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে গণবিক্ষোভ। প্রতিবাদের আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তাই দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টেনেছে দেশের সেনা। কিন্তু এত কিছুর পরও রাস্তায় নেমে সু কি’র মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছে মানুষ।