সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মথুরার নন্দ বাবা মন্দিরে নমাজ পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ফয়জল খান (Faisal Khan) করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত। তাকে মথুরার কেডি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছে তাকে। সোমবার গ্রেপ্তার করার পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাকে।
গত ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মথুরার (Mathura) নন্দগাঁও এলাকার নন্দ বাবা মন্দিরে বিনা অনুমতিতে নমাজ পড়ে ফয়জল খান ও চাঁদ মহম্মদ নামে দুই ব্যক্তি। আর তাদের নমাজ পড়ার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন অলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা নামের দুই ব্যক্তি। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। রবিবার রাতেই মুকেশ গোস্বামী, শিবহরি গোস্বামী ও কানহা গোস্বামী নামে তিন ব্যক্তি ফয়জলদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এই ঘটনায় ফয়জল ছাড়াও আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জরুরি অবস্থার ছায়া’, অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব বিজেপির নেতামন্ত্রীরা]
মন্দিরের পুরোহিত কানহা গোস্বামী জানিয়েছেন, ঘটনার দিন মন্দিরে ঢুকে রামচরিত মানস থেকে বেশ কয়েকটি লাইন মুখস্ত করে শোনায় আফজল। বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাধুর সঙ্গে নিজের ছবিও দেখায়। ফয়জলের মুখে শ্লোক শুনে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যান তিনি। কিন্তু তারপরই মন্দিরের এক নির্জন স্থানে গিয়ে ফয়জল ও চাঁদ মহম্মদ নামের তার সঙ্গী বিনা অনুমতিতে নমাজ পাঠ শুরু করে। ‘লভ জেহাদে’র পাশাপাশি মথুরার মন্দিরের ঘটনায় আলোচনায় উঠে এসেছে ‘মন্দির জেহাদ’-ও। সম্প্রতি, মুসলিম মৌলবাদের এই দুই অস্ত্রের ‘প্রয়োগ’ নিয়ে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা।
এদিকে মন্দিরে ‘নমাজ জেহাদের’ পালটা ইদগাহে হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছে চার যুবক। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বারসানা রোডের ইদগাহে হনুমান চল্লিশা পাঠ করে তারা। এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও চার যুবকের দাবি, তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই কাজ করেছে। সে কথা মানতে নারাজ পুলিশ। তাদের অভিযোগ, এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করছিল অভিযুক্তরা।