আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে তোলাবাজির অভিযোগ৷ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেপ্তার ৪ যুবক৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই চারজনকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা৷
[জোড়া পদ্ধতিতে জাল মদ, বড়দিনের উৎসবে শঙ্কায় আবগারি দপ্তর]
মঙ্গলবার রাতে আচমকাই তীব্র যানজট তৈরি হয় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে৷ কেন এমন পরিস্থিতি হল শহরের অদূরে ব্যস্ততম এই রাস্তাটি৷ অবাক হয়ে যান পথচলতিরা৷ যানজটের উৎপত্তি জানতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের৷ দেখেন, রাস্তায় লরি থামিয়ে চারজন যুবক টাকা আদায় করছে৷ অদূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশের গাড়ি৷ বেশ কিছুক্ষণ দূর থেকে দাঁড়িয়ে পথচলতিরা ওই যুবকদের কথা শোনে৷ তাদের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয়৷ পালটা ওই চার যুবককে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা৷ তাদের পরিচয় জানতে চান তাঁরা৷ এর মাধ্যে এক যুবক নিজেকে আইপিএস অফিসার বলেও পরিচয় দেয়৷ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চার যুবক কথা বললেও, তাদের কথায় মেলে একাধিক অসঙ্গতি৷ তাতেই সন্দেহের অবসান হয় পথচলতিদের৷ স্থানীয়রা বুঝতে পারেন এই যুবকেরা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিলেও, তা আদতে সঠিক নয়৷ পথচলতিদের থেকে খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই চার যুবককে প্রথমে আটক করে৷ একটানা জেরা করা হয় তাদের৷ প্রথমে নিজেদের অবস্থানেই স্থির ছিল ওই যুবকেরা৷ পরে যদিও আসল কথা স্বীকার করে নেয়৷ পুলিশ পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করছিল বলেই জেরায় জানায় ওই চার যুবক৷ পুলিশের স্টিকার লাগানো ওই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ স্বীকারোক্তির পরই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে৷
[পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে এল চোর! তারপর…..]
উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি হাঁকিয়ে ব্যাটারি চুরি করতে এসে বিপাকে পড়ে পাঁচ দুষ্কৃতী৷ একজনকে ধরে বেধড়ক মারধরও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় বসিরহাটের মাটিয়ার ঘোড়ারাস গ্রামে।