সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের গণ্ডি পার করেননি কেউই। একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি ও অন্যজন দ্বাদশ শ্রেণি। যদিও ডাক্তার সেজে দিব্যি রোগী দেখছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন দুই ভুয়ো ডাক্তার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভুয়ো ডাক্তারের মধ্যে একজন মহিলা। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনো করা ওই মহিলার নাম ললিতা কৃপাশঙ্কর সিং। দ্বিতীয়জন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া প্রয়াগ রামচন্দ্র প্রসাদ। অভিযুক্ত দুজন গুজরাটের সুরাট জেলার উমরা এলাকায় চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করেছিলেন। এমকি অ্যালোপ্যাথি ওষুধও দেওয়া হত। পুলিশের দাবি, স্থানীয়দের সন্দেহের জেরেই অভিযুক্তদের চেম্বারে অভিযান চালানো হয়। সন্দেহভাজনদের কাছে কোনও ডাক্তারি ডিগ্রি রয়েছে কিনা দেখতে চাইলে হলে তা দেখাতে পারেননি তাঁরা। এর পর তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ তখনই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাট পুলিশের ডিসিপি বিজয় সিং গুর্জর জানান, 'অভিযুক্ত ওই দুজন শহরে নিজেদের চেম্বার খুলেছিলেন রোগী দেখতেন। সেখানে আসা রোগীদের অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধও দেওয়া হত।' স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। অভিযুক্তরা কতদিন ধরে এই প্রতারণা চালাচ্ছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।