বিপ্লবচন্দ্র দেব, কৃষ্ণনগর: সিআইডি (CID), ডিএসপির পর এবার ভুয়ো আইএএস (IAS) পরিচয়ে জালিয়াতির অভিযোগ। সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান ও পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বাসিন্দার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্ত।
প্রতারিতের অভিযোগ, তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে দেওয়া ও স্ত্রীকে কলকাতা পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তিনি নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরতেন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করে তাঁকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেন ওই যুবক। কিন্তু কাজ হয়নি। এরপর টাকা ফেরত চান। অভিযোগ, ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাননি তিনি। এরপরই লিখিত অভিযোগ করা হয়। শনিবার এবিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ইশানি পাল জানিয়েছেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই কেস শুরু করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের সন্ধান চালানো হচ্ছে।” এবিষয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, “হয়তো অনেকেই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির ফাঁদে পা দিয়েছেন। তবে আর কেউ লিখিত অভিযোগ করেছেন কি না, জানি না। নিজেকে ভুয়ো আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে প্রতারণা করে বেড়ানো ওই ব্যক্তি নিজেকে অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলে পরিচয় দিয়েছেন। নামটিও ভুয়ো হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করুক।” নদিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাশিস রায় জানিয়েছেন, “যদি কেউ অভিযোগ করে থাকেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”
[আরও পড়ুন: Corona Virus: গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুশূন্য Kolkata, চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিঙের সংক্রমণ]
অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের নলুয়াপাড়ার বাসিন্দা মিঠু নামে এক মহিলা নিজেকে অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। আমার বাবাকে কোনওদিন নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরতে দেখিনি। কেউ আমাদের বাড়িতে টাকা চাইতে কোনদিনও আসেননি। আমার বাবা গাড়ির কাজ করেন। আমার বাবা এই ধরনের কাজ করতে পারেন না। হয়তো মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”