সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: জাল পাসপোর্টের তদন্তে প্রকাশ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশির জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পাক চর সংস্থা আইএসআই (ISI)। এমনকী, জেএমবি ও আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যরাও জাল পাসপোর্ট তৈরি করত বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের (CBI)। চক্রের পাণ্ডারা গত আট মাসে উত্তরবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে কয়েকজন নেপালি, তিন চিনা, দুই বাংলাদেশি ও এক মার্কিনি নাগরিককে জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে এই দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।
জাল পাসপোর্ট (Fake passport) মামলায় এই কলকাতা-সহ এই রাজ্য ও গ্যাংটকের ২৫ জন পাসপোর্ট অফিসের কর্তা, বিভিন্ন পদের কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করেছে সিবিআই। এই ব্যাপারে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ-সহ এই রাজ্য এবং সিকিমের (Sikkim) প্রায় ৫০টি জায়গায় চলে তল্লাশি। এক পাসপোর্ট কর্তা-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজেন্টরা যাদের মদতে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে জাল পাসপোর্ট তৈরি করত, সিবিআই তাদেরও সন্ধান চালাচ্ছে। এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এরকম অভিযোগ নানা সময়ে আসে। তার তদন্ত চলে। সেটা যেভাবে চলার, চলছে।’’
[আরও পড়ুন: স্মৃতিতে বাবা, ভারচুয়ালি নিজের এলাকার পুজো উদ্বোধনে নস্টালজিক মুখ্যমন্ত্রী]
সিবিআইয়ের অভিযোগ, গ্যাংটকের এক পাসপোর্ট আধিকারিক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বহু নেপালের বাসিন্দার ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, স্কুল-কলেজের শংসাপত্র তৈরি করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই কাজে দার্জিলিংয়ের এক আধিকারিক যুক্ত বলে অভিযোগ। ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি ছাড়াও তিন এজেন্টের বিরুদ্ধে ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা করার অভিযোগও ওঠে। কলকাতা (Kolkata) থেকে গ্যাংটকে পোস্টিং নিয়ে যাওয়া দুই পাসপোর্ট কর্তা ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষও নেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা বেশ কয়েকজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: টাকা ও উপহারের বিনিময়ে আদানির বদনাম! মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি]
গত সেপ্টেম্বরে এক এজেন্ট পাসপোর্ট আধিকারিকদের ১৮টি পাসপোর্ট ও পরে আরও ৯টি পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য টাকা দেয় বলে অভিযোগ। যে পাসপোর্ট আধিকারিকদের এজেন্টরা কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়, তাদের নামের তালিকাও তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছে সিবিআই।