সুব্রত বিশ্বাস: প্রাইভেট হোটেলের কর্মী। অর্থকষ্ট কিছুটা লাঘবের আশায় টিকিট পরীক্ষক সেজে ট্রেনে যাত্রীদের থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ধরা পড়ল এসকর্ট বাহিনীর হাতে। শনিবার সকালে আপ হাটে বাজারে এক্সপ্রেসের প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ কামরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে শিয়ালদহ আরপিএফের এসকর্ট বাহিনীর কর্মীরা।
ওই কামরার যাত্রীরা কর্তব্যরত আরপিএফদের জানান, ব্যান্ডেল থেকে ট্রেনে চড়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে জুনিয়র টিকিট পরীক্ষক হিসাবে পরিচয় দিয়ে টিকিট দেখতে চায়। ও টাকা পয়সা দাবি করতে থাকে। আরপিএফের জেরার ধৃত চিরঞ্জিত সরকার জানিয়েছে, শ্রীরামপুর রয়েল হোটেলের কর্মী সে। রায়গঞ্জ কলেজ পাড়ার বাসিন্দা। বাড়ি ফেরার পথে কিছু টাকা আয় করতেই নিজেকে টিকিট পরীক্ষক বলে পরিচয় দেয়। এরপর টিকিট পরীক্ষার অছিলায় টাকা আদায়ের ফন্দি এঁটে কাজ শুরু করে। এরপরেই যাত্রীদের সন্দেহ হওয়ায় তারাই ধরে ফেলে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে। এসকর্ট বাহিনীর আরপিএফ কাটোয়া স্টেশনে নামিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে আরপিএফ।
[আরও পড়ুন: হিংসাই যেন দস্তুর, ক্ষমতায় যেই থাক, বারবার রক্তাক্ত হয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট]
কিছুদিন আগে বালিগঞ্জ থেকে চার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে গ্রেপ্তার করে বালিগঞ্জ আরপিএফ। তদন্তে দেখা যায় শিকড় দিল্লি, বেনারস ও বিহারে। এবার ব্যান্ডেল থেকে টিকিট পরীক্ষক সেজে ট্রেনে চড়ে প্রতারণা নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। ক’দিন আগে ব্যান্ডেল থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে চড়ে বাংলাদেশী মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে নৈহাটিতে ধরা পড়ে দুষ্কৃতী। হাওড়া রেল পুলিশের এক আধিকারিকের মতে, ব্যান্ডেল দূরের গুরুত্বপূর্ণ শহরতলির জংশন স্টেশন হওয়ায় অপরাধীরা সেখান থেকে ট্রেন চড়ছে। ফলে স্টেশনটিতে আরও কড়া নজরদারি দরকার বলে তিনি মনে করেন।