অর্ণব আইচ: অপরাধমূলক কাজে সাহায্যের অভিযোগ। এবার গ্রেপ্তার জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) নিরাপত্তারক্ষী। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। এখনও পর্যন্ত দেবাঞ্জন কাণ্ডে পুলিশের জালে মোট ৮ জন।
ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হওয়ার পরই শিরোনামে উঠে এসেছিল দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের নাম। তিনি বারবার দাবি করেছিলেন গোটা ঘটনার কিছুই তাঁর জানা নেই। বলেছিলেন, তিনিও প্রতারিত। ভুয়ো নবান্নের চিঠি পাঠিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিশের নজরে ছিলেন তিনি। চারদিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরই বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, সোনারপুরের বাসিন্দা অরবিন্দ দেবাঞ্জনের ভুয়ো কারবারের পুরোটাই জানতেন। সোনারপুরে যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প হয়েছিল, তা আয়োজন করেছিলেন অরবিন্দই। পুলিশের ধারণা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই দেবাঞ্জনকাণ্ডের রহস্যভেদ করা সম্ভব হবে।
[আরও পড়ুন: জৈন হাওয়ালা মামলা: মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র জৈনের, বিস্ফোরক দাবি সুখেন্দুশেখরের]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রতারক দেবাঞ্জনের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরও (Jagdeep Dhankhar) যোগসাজশের অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। প্রমাণ স্বরূপ প্রকাশ্যে এনেছিলেন একের পর এক ছবি। যেখানে দেখা গিয়েছে, দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী রাজভবনে রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এমনকী, দেহরক্ষীর হাত দিয়ে বিশেষ খাম রাজ্যপালের কাছে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। যা নিয়ে কার্যত তোলপাড় পড়ে যায়। সেই ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার অরবিন্দ বৈদ্য। প্রসঙ্গত, কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোর সময় সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দেবাঞ্জন দেব। ঘটনার তদন্তে নেমে কার্যত হতবাক পুলিশ। একের পর এক মিথ্যে দিয়ে নিজের সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল ধৃত। ভুয়ো পরিচয় দিয়েই বারবার পৌঁছে গিয়েছিল প্রভাবশালীদের কাছে।