শুভঙ্কর বসু: ভুয়ো টিকা মামলায় স্বস্তি রাজ্যের। সিবিআইকে (CBI) দিয়ে এখনই তদন্তের প্রয়োজন নেই। শুক্রবার এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcuta HC) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। আপাতত রাজ্যের তদন্তের উপরেই তাঁরা ভরসা রেখেছেন। শুক্রবারের এই সংক্রান্ত তিনটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে মামলার নিষ্পত্তি করলেন বিচারপতিরা।
ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের শেষদিকে। কসবায় করোনা টিকা শিবিরের আয়োজন করে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে এতকাল কাজ করে আসছিলেন। এই শিবির থেকে ভ্যাকসিন নেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। তার ঠিক একদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রতারণা ধরা পড়ে দেবাঞ্জনের। পুলিশ তাকে ‘ভুয়ো’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জানতে পারে, তার আয়োজিত শিবির থেকে দেওয়া ভ্যাকসিনও ভুয়ো (Fake vaccination)। এরপর প্রতারণার জাল অনেক দূর গড়ায়। ইতিমধ্যে দেবাঞ্জন ছাড়া আরও চারজন গ্রেপ্তার হয়। দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসকঘনিষ্ঠ নেতাদের ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক তৈরি হয়। এরপরই রাজ্যের তদন্তের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: ‘BJP-তে যোগ্য লোকেরাই দায়িত্ব পান’, শুভেন্দুকে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই মন্তব্য দিলীপের]
হাই কোর্টের আইনজীবী সন্দীপন দাস প্রথম এই অপরাধের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার দাবি তুলে জনস্বার্থ মামলা করেন। এরপর বিজেপি নেতা এবং আরও একজন এই মামলা দায়ের করেন। তিনটি জনস্বার্থ মামলারই শুক্রবার শুনানি ছিল। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) কিশোর দত্ত জানান, এই মুহূর্তে ১৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত এমন ৫০ জনকে জেরা করা হয়েছে। টিকা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টের পরীক্ষা হচ্ছে। কয়েকটি রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা। সেসব হাতে পেলেই চার্জশিট দাখিল করা হবে। AG-র এই বক্তব্য শুনে রাজ্যের তদন্তের উপরই আস্থাপ্রকাশ করেন দুই বিচারপতি। জানান যে এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। ফলে মামলাকারীরা ধাক্কা খেলেন।