অর্ণব আইচ ও গোবিন্দ রায়: ভুয়ো করোনা টিকা (Fake Corona Vaccie) কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে ৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তাকে জেরা করলেই ভুয়ো টিকা রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলেই আশাবাদী পুলিশ। দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাবেন তদন্তকারীরা।
দেবাঞ্জন দেবের জীবনের পরতে পরতে শুধুই রহস্য। তার জালিয়াতির ছক কার্যত হতবাক করেছে তদন্তকারীদের। তবে পুলিশ নিশ্চিত যে দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) মাধ্যমে রহস্যভেদ সম্ভব। সেই কারণে মঙ্গলবার দেবাঞ্জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষ ধৃতের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। তিনি জানান, দেবাঞ্জনের কাছ থেকেই মিলেছে বহু নথি। তাকে নিয়ে তল্লাশি চালালে আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসবে, তাতে ভ্যাকসিন কাণ্ডের কিনারা করা সম্ভব হবে। তবে এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করেছেন দেবাঞ্জনের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, বহুদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন দেবাঞ্জন। ২০১৮ সালে উত্তর কলকাতার এক নামী মনোবিদের কাছেও গিয়েছিলেন ভ্যাকসিন কাণ্ডের ‘নায়ক’। সেই ৩০ হাজার টাকা না থাকায় কাউন্সেলিং করাতে পারেননি তিনি। আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য এদিন আদালতে বলেন, দেবাঞ্জন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই প্রথমে তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যদিও এই অসুস্থতার বিষয়টি উড়িয়ে সৌরিন ঘোষ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন কাণ্ডের চক্রী দেবাঞ্জন সম্পূর্ণ সুস্থ।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং কবে? আগামী সপ্তাহেই জানাবে সংসদ]
ভ্যাকসিন যে জাল, তার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি বলেও আদালতে সরব হন দেবাঞ্জনের আইনজীবী। দিব্যেন্দু ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, না জেনেই কেন ভ্যাকসিন জাল বলে দাবি করছে পুলিশ। যেখানে এখনও পর্যন্ত কারও অসুস্থতার বিষয় প্রকাশ্যে আসেনি, সেখানে ভ্যাকসিন ভুয়ো বলার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দাবি করেন, মানুষের ক্ষতি হবে, এমন কোনও কাজ করতেই পারেন না দেবাঞ্জন। জানা গিয়েছে, এদিন আরও ৪ টি (২৭৪,২৭৫,২৭৬,১৮৮) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, আজ হাই কোর্টে টিকা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামিকাল তার শুনানি।