shono
Advertisement

আর আহমেদ বনাম আলতামাস কবীর! ‘কবর যুদ্ধে’ কলকাতার দুই প্রভাবশালী পরিবার

পরিস্থিতি সামলাতে আসরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
Posted: 09:21 PM Dec 02, 2023Updated: 09:32 PM Dec 02, 2023

অভিরূপ দাস: কবর কার? আর আহমেদ পরিবারের, নাকি আলতামাস কবীর পরিবারের?
তিন নম্বর গোবরা কবরস্থান, ব্লক ৯, এক নম্বর রো। পার্কসার্কাসের এই জায়গাটিকে ঘিরে বিতণ্ডায় জড়িয়েছে বিখ‌্যাত দুই পরিবার। একটি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের। অন‌্যটি প্রবাদপ্রতিম দন্ত চিকিৎসক ডা. রফিউদ্দিন আহমেদের। দুই তরফেরই দাবি, গোবরা বিউরিয়াল গ্রাউন্ডে ওই কবর তাঁদের। বিতর্কের সুরাহার লক্ষে জানুয়ারিতে দুই পরিবারকে নিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

ঝামেলার শুরু বছর পাঁচেক আগে। আর আহমেদের নাতনি ডা. জারিনা আলিয়ার দাবি, ওই খানেই ১৯৬৫ সালে কবর দেওয়া হয়েছিল ডা. রফিউদ্দিন আহমেদকে। ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ‌্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. রফিউদ্দিন আহমেদের নামে শিয়ালদহে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ। ডা. জারিনা আলিয়ার বক্তব‌্য, ওই জমি যে আর আহমেদের পরিবারের সে সংক্রান্ত কাগজপত্র সমস্ত কিছু আছে। তবুও মানতে চাইছে না দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের পরিবার। যদিও এই মুহূর্তে গোবরা ৩ নম্বর কবরস্থানে ওই কবরে আনোয়ারা খাতুনের কবর রয়েছে। আনোয়ারা খাতুনের নামে নাম ফলকও রয়েছে সেখানে।

[আরও পড়ুন: সন্তানের চিকিৎসায় কলকাতায় এসে বিপাকে মালদহের শিক্ষিকা, হস্তক্ষেপ কলকাতা হাই কোর্টের]

কে এই আনোয়ারা খাতুন?
পুরসভার স্বাস্থ‌্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রয়াত আলতামাস কবীরের স্ত্রী মীনা কবীরের আত্মীয় ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। সেই ফলকও রয়েছে সেখানে। ফলক অনুযায়ী ১৯৭৫ সালে মারা গিয়েছেন আনোয়ারা খাতুন। যদিও আর আহমেদের নাতনির প্রশ্ন, “আমাদের কেনা জমিতে অন‌্য লোক কবর দেয় কীভাবে?”

একাধিকবার সমস‌্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন পুরসভার স্বাস্থ‌্য দপ্তরের আধিকারিকরা। আর আহমেদের মৃত‌্যুতে কবরে ফুল দিতে চান তাঁর পরিবার। কিন্তু সেখানে তো অন‌্য লোকের কবর। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ‌্যদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তেমন হলে আড়াআড়ি ভাগ করে দেওয়া হোক কবরের জমি। দুই পরিবারকেই জানিয়েছিলাম দু’জনের মৃত‌্যদিনেই আলাদা আলাদা করে শ্রদ্ধা জানানো হোক সেখানে। কিন্তু সে সমাধান মানতে নারাজ দুই পরিবার। শনিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেছিলেন আর আহমেদের নাতনি ডা. জারিনা আলিয়া। তাঁর কথায়, “ওই জমি আমাদের। আনোয়ারা খাতুনের নাম ফলক সরিয়ে সেখানে আর আহমেদের ফলক বসানো হোক।” মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এভাবে সমস‌্যা সমাধান সম্ভব নয়। দুই পরিবারকে নিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসা হবে। সেখান থেকেই বেরবে সমাধান সুত্র।

[আরও পড়ুন: সন্তানের চিকিৎসায় কলকাতায় এসে বিপাকে মালদহের শিক্ষিকা, হস্তক্ষেপ কলকাতা হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement