রমেন দাস: রাতারাতি 'সুপ্রিম' রায়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। কীভাবে দিন চলবে, তা নিয়ে অন্তহীন চিন্তায় ডুবেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দিশা দেখাতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের যৌথ মঞ্চের তরফে আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা তিনি করবেনই।
আর শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী, এসএসসি-র সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসের কথা মনে করিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।একদিকে এসএসসি যেমন জানিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা আলাদা করার কাজ শুরু হয়েছে। আইনি পরামর্শ মেনে তা ২১ এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তেমনই শিক্ষামন্ত্রীও জানান, ওঁদের দাবির সঙ্গে সরকারের কোনও মৌলিক বিরোধ নেই। যোগ্যদের চাকরি যাতে থাকে, তার জন্য আইনি সমস্ত সহযোগিতা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, চাকরিহারা শিক্ষকদের আইনজীবী ও সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রয়োজনে আলোচনায় বসবে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে রিভিউ পিটিশন করা হবে।
এদিনের বৈঠকের পর চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত সসম্মানে পদ ফিরে পাচ্ছেন, ততদিন রাজপথেই থাকবেন। এ নিয়ে ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘‘ওঁরা রাজপথে থাকতে চান নিজেদের অধিকারের দাবিতে। আমি এ বিষয়ে সহমত। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে ওঁদের পথেই থাকা উচিত। কিন্তু আমার অনুরোধ, আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে চেষ্টা করব। সেই সময়সীমা পর্যন্ত দেখে নিন। ২১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’ সেইসঙ্গে তিনি এও জানান, কেউ অনশন করছেন, তেমন খবর তাঁর কাছে নেই। যাঁরা তা করছেন, তাঁরা অন্য রাজনৈতিক দলের বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীরা চাইছেন, এই ২৬ হাজার লোককে বলি দিয়ে ভোটের আগে রাজ্যে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে। আমরা বলতে চাই, আপনারা আপনাদের রাজনীতি করুন। আমরা চেষ্টা করছি, এই মানুষগুলোকে শেষ মুহূর্তে অক্সিজেন দেওয়ার। সেটা আটকাবেন না।’’
