রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিভিন্ন ঘটনায় নিহত দলের কর্মী তথা ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যরাও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট। আজ অর্থাৎ শুক্রবার দলের কিছু ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তার ঠিক আগের মুহূর্তেই দিল্লিতে না যাওয়া শহিদ পরিবারের কিছু সদস্যের প্রশ্ন, বিজেপির তরফে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পালন করা হল না কেন? এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতারা।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবাররের সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি (BJP) নেতারা। কিন্তু কর্মীদের পরিবারের একাংশের অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ বিভিন্ন সময়ে সেই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের দলীয় কর্মসূচিতে হাজির করিয়ে রাজনৈতিকভাবে হাতিয়ার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি রাজনৈতিক সংঘর্ষে বা অন্য কোনও কারণে দলীয় কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থেই ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব?
[আরও পড়ুন: কলকাতায় অস্ত্র পাচার করতে এসে STF’এর জালে বিহারের যুবক, উদ্ধার মুঙ্গেরি পিস্তল]
সাগর বিধানসভা এলাকার বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী দেবাশিস মণ্ডল নিহত হয়েছিলেন ২০২০ সালের মার্চে। এই পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি নেতারা। দেবাশিসের দিদি অনিতা সিংহের বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত কেউ চাকরি পায়নি।” আবার মন্দিরবাজার থানার ধনুরহাট অঞ্চলে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত শক্তিপদ সর্দারের পরিবারের কেউই চাকরি পাননি। তাঁর স্ত্রী সুজাতা সর্দার জানালেন, ২০১৮ সালে স্বামী খুন হন। কিন্তু চার বছর হতে চলল চাকরি মেলেনি। ছেলের বায়োডাটাও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফল মেলেনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ‘শহিদ’দের পরিবারের সদস্যদের। আজ ফের ‘শহিদ’ পরিবারের একাংশকে নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন কর্মসূচি রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। এদিন যন্তর-মন্তর থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত পদযাত্রা ও তারপর ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ ও মোমবাতি মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরাও এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা।