সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যুবকের হাতে ট্যাটু করা ইসলামের পবিত্র সংখ্যা ৭৮৬। অভিযোগ, সেই কারণেই কাটা হল তাঁর হাত। এমনই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের পাল্টা দাবি, পরিবারের এক নাবালককে যৌন হেনস্তা করেছিল ওই যুবক। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় রেললাইনের পড়ে হাত খোয়ায় সে। অভিযোগ, পালটা অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ইখলাখ সলমনি। ২০২০ সালে চাকরি নিয়ে হরিয়ানার (Haryana) পানিপথে চলে আসেন ইখলাখ। তার হাতে একটা ট্যাটু ছিল। যার মূল বিষয় ৭৮৬, ইসলাম ধর্মের মতে পবিত্র সংখ্যা। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে তার হাত কেটে নেওয়া হয় বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা হাত শিবিরে, এবার কংগ্রেস ছাড়লেন কপিল সিব্বল]
একই দিনে ইখলাখের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। দাবি, আগস্ট মাসে তিনি নাকি পরিবারের এক নাবালককে যৌন হেনস্তা করেছেন। অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় রেললাইনে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় তাঁর হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিন্তু আদালতে ইখলাখের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ধোপে টেকেনি। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়নি। কোনও বড় ব্ তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চার্জশিট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। অভিযোগ, ইখলাখের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার প্রমাণ মেলেনি। শুধুমাত্র ওই নাবালক, তার বাবা এবং আত্মীয়র বয়ানের উপর ভিত্তি করে উত্তরপ্রদেশের যুবককে দোষী প্রমাণিত করা যায়নি। আগস্ট মাসে যৌন হেনস্তা করা হলেও এতদিন বাদে কেন অভিযোগ দায়ের হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবীর ব্যাখ্যাও সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে আদালতের রায়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।