সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতার দ্বারা নির্বাচিত সরকারই যেন আজ শত্রু। আর যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের কোনও অনুগ্রহই গ্রহণ করতে নেই। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে তাই সরকারি খাবার স্পর্শ করলেন না বিভিন্ন কৃষক সংঠনের নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, ‘আমরা সরকারের দেওয়া খাবার তো দূরের কথা, চা পর্যন্ত গ্রহণ করব না।’
কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে বিক্ষোভ মেটাতে বিভিন্ন কৃষক সংঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দীর্ঘ বৈঠকের প্রথম পর্বের শেষে যথারীতি কৃষক নেতাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিল সরকার। কিন্তু কোনও কৃষক নেতাই সেই মধ্যাহ্নভোজনে সরকারের পরিবেশন করা সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করলেন না। বরং, কৃষকদের জন্য রাজধানীর বাইরে যে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে, সেখান থেকে নিজেদের জন্য খাবার বেঁধে এনেছিলেন তাঁরা। বিজ্ঞানভবনে লাইন দিয়ে বসে মহানন্দে সেই অন্নই গ্রহণ করলেন। অনেক কৃষককে দেখা গেল বিজ্ঞানভবনের (Vigyan Bhawan ) বাইরে বাগানে বসে খাবার খেতে, কেউ আবার খেলেন বিজ্ঞান ভবনেরই বারান্দায়, মেঝেতে বসেই। আসলেই তো মাটির সঙ্গে ওঁদের নিবিড় যোগ। তাই অসুবিধা হয়নি কারও। তাছাড়া রাজধানীর বাইরে বিক্ষোভরত (Farmers Protest) লক্ষ লক্ষ কৃষক তো ওই খাবারই খাচ্ছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে সরকারের ভুরিভোজ নেতারাই বা গ্রহণ করেন কী করে!
[আরও পড়ুন: কৃষকদের প্রতি ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদ, পদ্মবিভূষণ ফেরালেন অকালি নেতা প্রকাশ সিং বাদল]
এদিনের বৈঠকের প্রথম পর্বে কৃষক নেতারা নিজেদের অবস্থান সরকারের সামনে তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারপক্ষ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। সূত্রের খবর, সরকার কোনওভাবেই বিল প্রত্যাহারে রাজি নয়। তবে, লিখিতভাবে ন্যূনতম সহায়ক মুল্য দেওয়ার আশ্বাস, আইনি সহায়তার আশ্বাসের মতো কৃষকদের কিছু দাবি মানা হতে পারে। অন্যদিকে কৃষকদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে সংসদের সংক্ষিপ্ত অধিবেশন ডেকে এই বিল প্রত্যাহার করতে হবে। প্রসঙ্গত জরুরি ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেসও। লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে সংসদের সংক্ষিপ্ত অধিবেশন ডেকে কৃষিবিল নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।