সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কানুন ওয়াপসি নেহি তো ঘর ওয়াপসি নেহি!’ অর্থাৎ যতদিন না আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততদিন বাড়ি ফেরার প্রশ্ন নেই। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন (Farm Laws) কার্যকর হওয়ার উপর সুপ্রিম কোর্ট সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলেও, তাতে খুশি নন দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের সাফ কথা, যতদিন না আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততদিন তাঁরা নিজেদের আন্দোলন থেকে এক পাও পিছিয়ে আসবেন না। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) যে এই বিলের ভালমন্দ বিচার করার জন্য কমিটি গড়ে দিয়েছে, সেই কমিটির সঙ্গেও কোনওরকম সহযোগিতা করতে নারাজ তাঁরা।
কৃষকদের সংঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটিকে কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সরকার ঘনিষ্ঠ। এবং কেন্দ্রের এই নয়া আইনের সমর্থক। তাই এঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা তাঁরা করবেন না। কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) নেতারা বলছেন, “আমরা আগেই জানতাম কেন্দ্র ঠিক নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঠেলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করে ফেলবে। তাই গতরাতেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, এই ধরনের কোনও কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব না। আমাদের আন্দোলন আগের মতোই চলবে।”
[আরও পড়ুন: বিতর্কের ঊর্ধ্বে ত্রাতা PM CARES! এই তহবিল থেকেই ভ্যাকসিন কিনতে পারে সরকার]
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি আইনগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যে কমিটির সদস্যরা হলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভুপিন্দর সিং মান, শ্বেতক্ষারি সংঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত, এবং আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদ কুমার যোশী। এই কমিটিকে দু’মাসের মধ্যে নিজেদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আগামী দশদিনের মধ্যেই কমিটির প্রথম বৈঠক ডাকতে হবে। বস্তুত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত কমিটির এই চার সদস্যই আগে কৃষি আইনের সমর্থনে কথা বলেছেন। ফলে, আদৌ এঁরা নিরপেক্ষভাবে সবদিক খতিয়ে দেখবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান বিক্ষোভরত কৃষকরা। সম্ভবত, সেকারণেই কমিটির সঙ্গে সহযোগিতা না করে আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।