সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমিত শাহের শর্তে রাজি নয় পাঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লি সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। রবিবার বৈঠকের পর এ কথা জানিয়ে দিলেন কৃষক সংগঠনগুলি।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলনে (Farmer Protest) নেমেছে। চাপের মুখে শনিবার সুর নরম করে সরকার। শর্তসাপেক্ষে চাষিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই প্রস্তাব এ দিন খারিজ হয়ে গেল। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (সিংঘুপুর) সভাপতি জগজিৎ সিং জানান, যন্তর মন্তরের পরিবর্তে নয়াদিল্লি বুরারির মাঠে বিক্ষোভ প্রদর্শনের শর্তে কেন্দ্র যে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে, তা সর্বসম্মতভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর সরকার কী পদক্ষেপ করে তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কৃষকদের আশঙ্কা, সরকারি নির্ধারিত স্থানে তাঁদের সরিয়ে গিয়ে কার্যত বন্দী বানিয়ে ফেলবে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন : প্রাধান্য সেই সোনিয়া ঘনিষ্ঠদেরই! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন কোষাধ্যক্ষ করল কংগ্রেস]
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছিলেন, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে গররাজি ছিল কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কৃষকরা চাইলে ৩ ডিসেম্বরের আগেই বৈঠকে বসবে সরকার। তবে কিছু শর্ত মানতে হবে সংগঠনগুলিকে।
কৃষকদের উদ্দেশে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনেক জায়গাতেই এই প্রবল ঠান্ডায় জাতীয় সড়কের উপর ট্রাক্টর এবং ট্রলিতে রাত কাটাচ্ছেন কৃষকরা। আমি তাঁদের আবেদন করছি, দিল্লি পুলিশ আপনাদের বড় ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। দয়া করে সেখানে যান। সেখানে আপনাদের আন্দোলন করার জন্য অনুমতি দেবে পুলিশ।”
[আরও পড়ুন : আদানির কয়লা প্রকল্পে ঋণ দিলে ছিন্ন হবে সম্পর্ক! SBI-কে হুঁশিয়ারি বিনিয়োগকারী সংস্থার]
দিল্লির বুরারির শান্ত নিরাঙ্কারি ময়দানে তাঁদের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে পানীয় জল ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা সরকার করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এদিন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিল কৃষক সংগঠনগুলি।