shono
Advertisement

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ এবার আম্বানির আঙিনায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং বয়কট জিও

বুধবার কেন্দ্রের দেওয়া লিখিত প্রস্তাব খারিজ করে দেন কৃষকরা।
Posted: 10:58 PM Dec 09, 2020Updated: 10:58 PM Dec 09, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির কৃষক আন্দোলনের আঁচ এবার সরাসরি গিয়ে পড়ল আদানি, আম্বানিদের আঙিনায়। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎই ট্রেন্ডিং হয়ে যায় বয়কট জিও (#BoycottJio)। কৃষকদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ায় নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও। ব্যাপারটা কী?

Advertisement

১৪ দিন ধরে অব্যাহত কৃষক ‘বিদ্রোহ’ (Farmers’ Protest)। সেই আগুন নেভাতে এদিন সকালে কৃষি আইন সংশোধনীর প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। পাঁচটি প্রস্তাব লিখিত আকারে কৃষকদের পাঠানো হয়। কিন্তু শেষমেশ সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কৃষি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে বিক্ষোভ চলবে। সেই কারণেই তাঁরা এতদিন ধরে লাগাতার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আর মোদি সরকার তাঁদের দাবি মেনে না নিলে আগামী ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর এবং দিল্লি-আগ্রা হাইওয়ে ব্লক করা হবে। পাশাপাশি কোনও টোল প্লাজায় টোল ট্যাক্সও দেবেন না তাঁরা। একইসঙ্গে কৃষকরা স্পষ্ট করে দেন, তাঁরা আদানি ও আম্বানি গ্রুপের সমস্ত পণ্যও বয়কট করবেন। এমনকী জিও মোবাইল ও জিও সিমও আর ব্যবহার করবেন না।

[আরও পড়ুন: যাত্রা হবে আরও সুরক্ষিত, লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় নয়া সংযোজন রেলের]

এরপরই কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিও পরিষেবা বয়কটের ডাক ওঠে। তৈরি হয়ে যায় নানা মিম। অনেকেই বলতে থাকেন, করোনা কালেও এই বিজেপি সরকারের জন্যই পকেট ভারি হয়েছে আম্বানি-আদানিদের। অথচ, কৃষকদের দাবি মানতেই সমস্যা কেন্দ্রের। অনেকে আবার বলেন, কৃষকদের সমর্থন জানাতে তাঁরাও জিও সিমের পিছনে আর অর্থ খরচ করবেন না।

উল্লেখ্য, জানা গিয়েছিল এদিন কৃষকদের ক্ষোভ মেটাতে পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এক, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বাতিল করা হবে না। কেন্দ্র এই নিয়ম মেনে চাষিদের কাছ থেকে ফসল কিনবে। দুই, কৃষিমান্ডি আরও উন্নত ও মজবুত করা হবে। তিন, চাষিদের কাছ থেকে ফসল কিনতে হলে ব্যবসায়ীদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। চার, চুক্তিভিত্তিক চাষের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে সাধারণ আদালতে যেতে পারবেন চাষিরা। পাঁচ, ফসলের আগাছা জ্বালানোর সম্পর্কিত কঠোর আইনে পরিবর্তনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে প্রস্তাব খারিজেরই সিদ্ধান্ত নেন কৃষকরা।

[আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব, ছাড়পত্র পেল না সেরাম-ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement