সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষষ্ঠ দফার আলোচনাতেও মিলল না রফাসূত্র। আগামী জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ ফের কৃষকদের সঙ্গে সপ্তম দফার বৈঠকে বসবে কেন্দ্র। বুধবার, কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদী চাষীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার।
[আরও পড়ুন: নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি সূত্রের]
এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ঘোষণা মতেই কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষক সংগঠনগুলির নেতারা। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা শেষে নিট ফল দাঁড়িয়েছে শূন্য। অর্থাৎ নিজের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয় কোনও পক্ষই। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই ফের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বৈঠকে বসছেন তাঁরা। বিশ্লেষকদের মতে, চাপ বাড়লেও কেন্দ্র যে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করছে না, তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী তোমার বলেন, “আজকের বৈঠক সদর্থক ছিল। চারটি বিষয়ের মধ্যে দু’টি বিষয়ে দুই পক্ষ সহমত হয়েছে। দিল্লিতে যে হারে শীত পড়েছে সেই কথা মাথায় রেখে আমি কৃষিক নেতাদের কাছে আবেদন করেছি, তাঁরা যেন বাচ্চা, মহিলা ও বয়স্কদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আমি জানাতে চাই যে, পরিবেশ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ নিয়ে কৃষকদের আপত্তি ছিল। আলোচনার শেষে চাষীদের সেই অধ্যাদেশ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ সহমত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যুত আইনের পুনর্গঠন নিয়ে চাষীদের আপত্তি ছিল। তাঁদের ভয় ছিল নয়া আইনে বিদ্যুতের মাশুলে যে সরকারি ছাড় দেওয়া হয় তা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু চাষীদের সরকারি ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছি আমরা। এই বিষয়েও দুই পক্ষ সহমত হয়েছে।”
এদিকে, গোটা কৃষক আন্দোলনের মূলে যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) ইস্যু রয়েছে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানান, চাষীদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে। এই প্রথা বন্ধ হবে না। এই প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে দিতে রাজি আছে সরকার। কিন্তু চাষীদের দাবি, আইন করে MSP দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। এদিকে, অল ইন্ডিয়া কিষান সভার প্রেসিডেন্ট বলকরণ সিং ব্রার জানিয়েছেন, “আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তবে সরকার চাইছে আমরা প্রতিবাদ বন্ধ করে কৃষক সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করি। কিন্তু এমন কোনও কিমিটি আমরা গঠন করতে রাজি নই। আন্দোলন চলবে। পরবর্তী আলোচনায় আমরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কথা বলব।”