অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কালীপুজো (Kali Puja) শেষ, তবে সামনেই জগদ্ধাত্রী, রয়েছে কার্তিক পুজোও। স্বাভাবিকভাবেই ফুলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এদিকে একের পর এক নিম্নচাপের জেরে ফুলগাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফুলের যোগানও সেইভাবে নেই বললেই চলে। তার উপর নার্সারিতে থাকা ফুল গাছের চারাও ক্ষতির মুখে। ফলে প্রবল সমস্যায় চাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা।
পুজো মানেই ফুলের চাহিদা থাকে সর্বত্র। কারণ, এই উপকরণ ছাড়া পুজো করাটাও সম্ভব নয়। এমনই এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুজোর উপকরণের যোগান চাহিদার তুলনায় কমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। আর এর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে একের পর এক নিম্নচাপ, ফুল গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এছাড়াও নার্সারিতে থাকা ফুলের চারাও নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে নার্সারি ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন: রাজীবের দলবদলে শিক্ষা! দল ছাড়ার প্রবণতা রয়েছে এমন কাউকে বড় পদ দেবে না বিজেপি]
কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যেমন ফুলের চাষ হয়, তেমনই নার্সারির ব্যবসাও রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল যেমন গাঁদা, জবা, গোলাপ, চাইনিজ, ক্যালেন্ডুলার মতো বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয় তেমনই চারাও তৈরি করা হয়। আর এই ফুল ও গাছ কিনতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন ব্যবসায়ীরাও। পারুলিয়া এলাকার ফুলচাষি পবন ঘোষ বলেন, “এইবছর প্রায় দু’বিঘা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, ক্যালেন্ডুলা, বেবিডল, দোপাটি ফুলের চাষ করি। নিম্নচাপের বৃষ্টির জলে এইবার বেশ কিছু ফুলগাছ পচে যায়। চাহিদার তুলনায় সেইভাবে যোগান দিতে পারিনি।” ফলে চাষের জন্য খরচ করলেও লাভ মেলেনি।
অন্যদিকে পরিতোষ সরকার নামে এক নার্সারি ব্যবসায়ী বলেন, “নিম্নচাপের বৃষ্টির পরেই রোদ পেয়ে ফুলগাছের চারার গোড়া পচে যায়। লাল হয়ে যায়।” পুজো উদ্যোক্তা সুব্রত হাজরা বলেন, “অন্যান্যবারের তুলনায় এইবার ফুলের দাম বেশ ভালই। ফুল ছাড়া তো আর পুজো হয় না। ফুলটাই বেশি লাগে। তাই পুজোর বাজেট কিছুটা হলেও বাড়বে।” অন্যদিকে বর্ধমান থেকে ফুলগাছের চারা কিনতে আসা ব্যবসায়ী পিরু মণ্ডল বলেন, “এইসময় নার্সারিগুলোতে ফুলগাছের চারা এত ভাল বেশি পরিমাণে হয় চারিদিকে যেন সবুজ মনে হয়। কিন্তু এইবার ফুল গাছের চারা নষ্ট হওয়ায় বেশি দামে কিনেই তা বিক্রি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।”