সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: গরমের মরশুম আসতেই বাংলার বাজার ছেয়ে যায় আম, জাম, লিচুতে। ফল ব্যবসায়ীরা সারা বছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। নদিয়ার কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলির ফল চাষিদের অনেকাংশ নির্ভর করেন এই গ্রীষ্মকালীন লাভজনক ফলের চাষের উপর। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার লিচুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। প্রত্যেক বছরই পাড়ি দেয় দেশের বিভিন্ন কোণে। এবার সেই লিচু দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইজরায়েলে। এছাড়াও দিল্লি, অসম, মুম্বইয়ে যাচ্ছে এই লিচু।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া (Majdia) অঞ্চলের আম ও লিচু বিখ্যাত। এবার আমকে টেক্কা দিচ্ছে লিচু। মাজদিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ লিচু চাষে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার। তার জেরেই মাজদিয়ার অঞ্চলে ইজরায়েলের ((Israel) একটি সংস্থা লিচু কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। দর দামের পর ঠিক হয় বাংলার লিচু পাড়ি দেবে মধ্য এশিয়ার দেশে। তবে চোখের দেখায় সব কিছু ঠিক হয়নি। সত্যিই জৈবসার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার পরই চুক্তি ঠিক হয়।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ৫টি ইভিএমে বিজেপির ট্যাগ, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব কমিশনের]
লিচু চাষিরা মনে করছেন, যেহেতু কীটনাশক ব্যবহার না করে চাষ করা হয়েছে তাই ইজরায়েলের বাজার কাঁপাবে বাংলার লিচু। তাঁদের আরও দাবি, লিচু বিদেশে পাড়ি দেওয়ার ফলে তাঁরা যেমন লাভের মুখ দেখবেন, তেমনই আগামী মরশুমে আরও বেশি সংখ্যক চাষি লিচু চাষে আগ্রহী হবেন।
কৃষ্ণগঞ্জের লিচু চাষি বিদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন, "আমাদের এই লিচু মুম্বই হয়ে ইজরায়েল যাচ্ছে। ইজরায়েলের ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আসেন। ২ হাজার লিচু সাড়ে দশ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যবারের থেকে এবারে আমরা খুশি। এই লিচু যেহেতু জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে, তাই চাহিদাটাও বেশি।"