সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে গোটা ভারত। প্রত্যেকেই সাধ্যমতো একে অপরকে সাহায্য করছে। কেউ খাবার ও ওষুধ বিতরণ করছে, তো কেউ প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচাতে বিনামূল্যে মাস্ক দিচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এই মাস্কের ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হয়ে পড়েছে জোগান। বাজারে অমিল মাস্ক। এই সমস্যা সমাধানে ময়দানে নামলেন দিল্লির এক ডিজাইনার। নাম মণীশ ত্রিপাঠি। খাদি দিয়ে মাস্ক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। মানুষ যাতে বারবার একই মাস্ক স্যানিটাইজ করে ব্যবহার করতে পারেন, তাই তাঁর এই উদ্যোগ।
করোনা এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে সবচেয়ে উপযোগী ঘরবন্দি হয়ে থাকা। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে তো মানুষকে বাইরে বের হতেই হবে। তখন পরতে হবে মাস্ক। সম্প্রতি এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ১৩০ কোটির দেশে প্রয়োজনের তুলনায় জোগান অতি অল্প। ফলে সরকার বারবার মানুষের কাছে অনুরোদ করছে সম্ভব হলে বাড়িতেই বানান মাস্ক। সেই ঘরোয়া মাস্কই ব্যবহার করুন। মণীশও সেই দিশাই দেখালেন। তিনি যেভাবে ঘরে বসে মাস্ক বানানোর পথ দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পরিস্কার খাদি কাপড় ব্যবহার করে সেলাই মেশিনের সাহায্যে মাস্ক তৈরি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়। এগুলি তিনি দরিদ্র লোকেদের মধ্যে বিতরণও করছেন। মণীশের এই প্রচেষ্টা অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: চা-কফিতেই হবে বাজিমাত, লকডাউনে ঘরে বসেই চুল করে তুলুন বাদামি ]
মণীশ বলেছেন, “আমি এই মাস্কগুলো সেই সব মানুষের জন্য বানাচ্ছি যাদের কেনার সামর্থ নেই। এছাড়া আমি এগুলি অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করব। তাতে যে টাকা আয় করব তা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করব।” মণীশ আরও বলেছেন, লকডাউনের জন্য যাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাঁরাও মাস্ক তৈরির কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন। এই মাস্ক ব্যবহারের সুবিধা হল এগুলি ধুয়ে বা স্যানিটাইজ করে বারবার ব্যবহার করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন শুধু পরিষ্কার সুতির কাপড়। মণীশের এই উদ্যোগ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
শুধু মণীশ একা নন, মাস্ক নিয়ে ‘পরীক্ষানিরীক্ষা’ চালাচ্ছে কলকাতার খুদেরাও। বোরিং সাদা মাস্কের বদলে কলকাতার খুদেদের মধ্যে এখন ট্রেন্ডিং ডিজাইনার মাস্ক। মাস্কের উপর গ্লিটার পেপার কাটিং দিয়ে ডিজাইন করে ব্যবহার করছে তারা। করোনার জেরে স্কুল এখন বন্ধ। বাড়িতে তাই এই নিত্য নতুন মাস্ক তৈরির মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিয়েছে তারা। মাস্কের উপর ক্রিস্টাল স্টোন ও গ্লিটার দিয়ে কারুকাজ করছে খুদেরা। কেউ কেউ আবার মাস্কের উপর কাপড়ে কাটিং পেস্ট করে ফুটিয়ে তুলছে সুন্দর সুন্দর সব নকশা। বাবা-মায়েরাও খুদেদের এই উদ্যোগে বেশ খুশি। লকডাউনের মধ্য়ে স্কুল ছুটি। বাইরে খেলতে বেরনোও হচ্ছে না। এর মধ্যে যদি এটুকুতে ছোটরা আনন্দ পায়, ক্ষতি কী?
[ আরও পড়ুন: মোদি-মমতার পাশে সব্যসাচী, করোনা তহবিলে ১.৫ কোটি টাকা অনুদান ফ্যাশন ডিজাইনারের ]
The post খাদির কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাস্ক, পথ প্রদর্শক দিল্লির এক ফ্যাশন ডিজাইনার appeared first on Sangbad Pratidin.