দুলাল দে: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ফেডারেশনের (AIFF) নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে আজ সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিতে পারে বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা (FIFA)। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক চাইলে, তার আগে সকালেই অবশ্য ফিফার কর্তাদের সঙ্গে আরও একপ্রস্থ মিটিং হতে পারে তাদের। তবে ফেডারেশনের নির্বাচন কোন পথে হবে, তা জানিয়ে সোমবার রাতেই চূড়ান্ত চিঠি চলে আসার কথা ফিফার তরফে।
এদিকে, ফেডারেশন নির্বাচনে সুব্রত দত্ত (Subrata Dutta) যদি একান্তই বাংলার পক্ষে ভোট না দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে ফেডারেশনে ভোট দিতে যাবেন সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ajit Bannerjee)। ফেডারেশনের সভাপতি পদে সুব্রত দত্তর মনোনয়ন দাখিল করার পর তা বাতিল হয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা ঠিক নয়। কারণ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের খসড়ার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে যে রায় দিয়েছে, তাতে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নের দিন ধার্য হয়েছে, ১৭, ১৮ এবং ১৯ আগস্ট।
[আরও পড়ুন: গান্ধীর সঙ্গে একাসনে সাভারকর, লালকেল্লা থেকে ‘হিন্দুবীর’-কে সম্মান প্রধানমন্ত্রীর]
আপাতত যা হয়েছে, তা হল, কোন রাজ্য সংস্থার তরফে কারা ফেডারেশনে ভোট দিতে যাবেন, তার তালিকা। বাংলা থেকে ভোট দেওয়ার জন্য সুব্রত দত্তর নাম যাওয়ায় তা বাতিল করে দিয়েছেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা। সুব্রত দত্তও অবশ্য বসে নেই। তাঁর স্বপক্ষে আইনজীবী দিয়ে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সুব্রত দত্তর যুক্তি হল, তিনি আগে সহ -সভাপতি ছিলেন। আর ফেডারেশনের সংবিধানে সহ-সভাপতি পদ কখনই পদাধীকারী হিসেবে দেখানো নেই। ফলে তিনি ১২ বছর সহ-সভাপতি থাকলেও, তা ফেডারেশনের নির্বাচনের নিয়মে প্রযোজ্য হচ্ছে না। তাছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা নির্বাচনের যে নতুন খসড়া করেছেন, তাতে সহ-সভাপতি পদটাই নেই। ফলে সুব্রত দত্ত প্রতিবাদের যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে লিখেছেন, যেখানে সহ-সভাপতি পদটাই থাকছে না, সেক্ষেত্রে তাঁর ভোটদানের অধিকার কেন বাতিল হবে?
এসবের পরেও যদি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষমতা না পান, সেক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে, তাঁর জায়গায় এবার ফেডারেশনে ভোট দিতে যাবেন সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মুহূর্তে বয়স ৬৯। ফলে পরের নির্বাচন থেকে আর তিনি আইএফএর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। সেই কারণেই সুব্রত দত্ত যেতে না পারলে, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেডারেশন নির্বাচনে ভোট দিতে পাঠানো হবে।
এসবের বাইরে সবাই তাকিয়ে আছেন, ফিফার দিকে। তারপর রাজ্য সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের রিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে ফেডারেশনের রায় প্রকাশ হতে পারে ১৭ আগস্ট। তবে এক্ষেত্রে ফিফা যদি নির্বাচন নিয়ে নতুন কিছু আদেশ দেয়, তাহলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের নির্বাচনীর খসড়ার পুরো ব্যাপারটাই উল্টে যাবে। কারণ, তৃতীয় পক্ষের অন্তর্ভুক্তির জন্য কিছুদিন আগেই এল সালভাদোরকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। ফলে রাজ্য সংস্থাগুলি তাকিয়ে আছে ফিফার দিকে। প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলাররা ফেডারেশন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা ঠিক হয়ে যাবে সোমবার ফিফার চিঠি চলে এলেই।
এদিকে, তাঁরা যোগ্য হলেও কেন ভোট দিতে পারবেন না জানতে চেয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের চিঠি দিয়েছেন তিন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার, মহেশ গাওলি, ভেঙ্কটেশ এবং স্টিভেন ডায়াস।
[আরও পড়ুন: ‘দেশভাগের জন্য দায়ী নেহরু’, বিজেপির ভিডিও নিয়ে জোর বিতর্ক, পালটা দিল কংগ্রেস]