সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ মানেই গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা। ইউরোপের কোনও ঝাঁ-চকচকে শহর হোক বা আফ্রিকার কোনও প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া গ্রাম। ফুটবল উত্তেজনা আঁচ কিছুটা হলেও পৌঁছয় বিশ্বের প্রতিটি কোণে। এবার কিন্তু বিশ্বকাপের এই উন্মাদনা বিশ্বের বাইরে ছড়িয়ে গিয়েছে মহাবিশ্বে। বিশ্বকাপের আগে নাকি মহাকাশে দিব্যি খেলা হচ্ছে ফুটবল।
[এখনও টাটকা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ক্ষত, র্যামোসকে ক্ষমা করেননি সালাহ]
বিশ্বকাপে যে বলে খেলা হবে তার নাম জানেন? টেলস্টার ১৮। সেই বল না কি আসছে মহাকাশ থেকে! অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে? শোনাক। কিছু করার নেই। কারণ অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই বাস্তব।
[বিশ্বকাপের ইতিহাসের এই বিতর্কিত মুহূর্তগুলির কথা মনে আছে?]
ব্যাপারটা ঠিক কী সেটাই এবার খোলসা করা যাক। গত নভেম্বরেই টেলস্টার ১৮-এর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিওনেল মেসি, জিনেদন জিদান, কাকা, দেল পিয়েরোদের মতো বর্তমান-প্রাক্তন তারকারা। তার পরপরই এই অভাবনীয় উদ্যোগ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নামছে সৌদি আরব। সেই ম্যাচে ফিফার যে অফিসিয়াল বলে খেলা হবে তা রাশিয়া সরকারের তরফ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মহাকাশে। ১৪ জুন, অর্থাৎ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের দিন স্পেস যানটি কাজাখস্তানে নামবে। তারপর বল যাবে রাশিয়ায়। যা দিয়ে হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ।
[নায়কদের আগেই মাঠে সুন্দরী ভক্তরা, উত্তেজনা পারদ চড়ছে মস্কোয়]
এই মার্চেই বলের ঠিকানা হয়ে গিয়েছে আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেশ স্টেশন)। মহাকাশ যান আইএসএস-৫৪/৫৫-এ রয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশচারী অ্যান্টন স্কাপলেরোভ। সঙ্গে আমেরিকার স্কট টিনগেল ও জাপানের নিরিশিগে কানাই। স্পেস যানে তারা রীতিমতো উড়তে উড়তে ফুটবল খেলছেন। এবং যে ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
[ফুটবলের সঙ্গে নিয়মিত চলুক স্বমেহন, পর্তুগিজ গোলকিপারকে পরামর্শ বান্ধবীর]
এবার আসা যাক টেলস্টার ১৮-এর কথায়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে সেটা আগেই জানা গিয়েছে। এবার সেখানে পাকিস্তানের নামও জড়িয়ে গেল। এমনিতে বিশ্বকাপে যে বল খেলা হয়, সেগুলো মূলত পাকিস্তানেই তৈরি হয়। রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য সেদেশে প্রায় ছয় লাখের কাছাকাছি বল তৈরি হয়েছিল। তারমধ্যে টেলস্টার-১৮ নামক বলটিকে বিশ্বকাপের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
The post বিশ্বকাপে মহাকাশ যোগ! মেসিদের জন্য বল আসছে অন্তরীক্ষ থেকে appeared first on Sangbad Pratidin.