সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত যে কটা দল কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) নিজেদের ওজন অনুযায়ী পারফর্ম করতে পেরেছে, তাদের মধ্যে পর্তুগাল একটি। প্রথম দু’ম্যাচের দুটিতেই সহজ জয় দিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) নকআউটে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা। তা সত্ত্বেও কোথাও যেন অশান্তির আঁচ ধিকিধিকি জ্বলছে পর্তুগাল শিবিরে। অন্তত ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমগুলির তাই দাবি। সেই অশান্তির মূল কারণ সম্ভবত রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এবং ব্রুনোর (Bruno) গোল বিতর্ক আর চোট-আঘাতের আশঙ্কা।
শুক্রবার পর্তুগাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নামবে। তার আগে বুধবারের অনুশীলনে আচমকা গরহাজির ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। অন্য সতীর্থরা অনুশীলন করলেও রোনাল্ডো এদিন অনুশীলনে আসেননি। জানা গিয়েছে, শারীরিক কোনও সমস্যা নেই রোনাল্ডোর। এমনিই নাকি অনুশীলন করেননি তিনি। আলাদা করে নিজের মতো জিমে সময় কাটিয়েছেন তিনি। রোনাল্ডো কেন এলেন না অনুশীলনে? তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। রোনাল্ডো ছাড়াও আরও যারা অনুশীলনে ছিলেন না তাঁরা হলেন ওটাভিও, ডানিলো পেরেরা এবং নুনো মেন্ডেস (Nuno Mendes)। ঘটনাচক্রে এদের সবার কোনও না কোনও চোট আছে। নেই শুধু রোনাল্ডোর।
[আরও পড়ুন: ফ্রান্সকে হারিয়েও বিদায় টিউনিশিয়ার, ডেনমার্ককে মাটি ধরিয়ে নকআউটে অস্ট্রেলিয়া]
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে খেলার ৫৪ মিনিটের মাথায় ব্রুনোর ক্রস থেকে হেডে রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) পর্তুগালের হয়ে প্রথম গোলটি করেছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। গোলের সেলিব্রেশনও শুরু করে দেন রোনাল্ডো। কিন্তু স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে জানানো হয় গোলটি ব্রুনো ফার্নান্ডেজের। তারপর থেকেই শুরু যাবতীয় বিতর্ক। VAR রেফারি কিংবা ফিফা যা-ই বলুক না কেন, খোদ রোনাল্ডোও দাবি করে চলেছেন গোলটি তাঁর।
[আরও পড়ুন: সরকারের হাতে ‘বন্দি’ চেশমিদের পরিবার, এবার কী করবেন ইরানি ফুটবলাররা?]
বিখ্যাত সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যানও জানান, সিআর সেভেন নাকি তাঁকে বলেছেন গোলটি তাঁরই। ব্রুনোর নয়। এমনকী তিনি এও দাবি করেছেন, স্নিকো প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে যে তাঁর মাথা ছুঁয়েই বল জালে জড়িয়েছে। সতীর্থর কৃতিত্ব ‘কেড়ে নেওয়া’র প্রবণতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম কটাক্ষের শিকারও হতে হচ্ছে রোনাল্ডোকে। তবে ফিফা নিশ্চিত করেই বলে দিচ্ছে, রোনাল্ডো যতই দাবি করুন, এই গোল ব্রুনোরই। এসব বিতর্কের মধ্যেই রোনাল্ডোর অনুশীলনে গরহাজিরা থাকাটা বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। যদিও পর্তুগাল শিবিরে আদৌ কোনও অশান্তি হয়েছে নাকি রোনাল্ডো স্রেফ এমনিই অনুশীলনে ছিলেন না, সেটা স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ আবার বলছেন, নকআউট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় রোনাল্ডোকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না পর্তুগাল টিম ম্যানেজমেন্ট। শুক্রবার তাঁকে কোরিয়ার বিরুদ্ধে নাও খেলানো হতে পারে।