সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) প্রতি বিদ্বেষ। গত সপ্তাহে এক তরুণ পণ্ডিতকে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। এমনকী রবিবার পণ্ডিতদের ওপর হামলা চালানো হবে বলে সরাসরি হুমকি চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-ইসলাম (Lashkar e Islam)। এই বিষয়ে সোমবার মুখ খুললেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah)। তিনি বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ঘুরিয়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটিকে দায়ী করলেন। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীর ফাইলসের মতো সিনেমা দেশে ঘৃণার আবহ তৈরি করছে। এই ধরনের সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ হওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বদগাঁওয়ের অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট (Rahul Bhat) নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর দায় স্বীকার করে ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ নামে একটি সংগঠন। প্রতিবাদে পরদিন থেকেই বিক্ষোভে শামিল হন সেখানকার কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের উদাসীনতার উপত্যকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
[আরও পড়ুন: ৭ বছর ধরে নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! অভিযুক্ত ৮১ বছরের বৃদ্ধ]
নিহত রাহুলের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আমাদের বলির পাঁঠা করছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওরা রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখে এক কথা বলেন, আর কাজে আরেকরকম করেন।” এসবের পর লস্কর-ই-ইসলামের সই করা হুমকি চিঠি (Threat Letter) এসে পৌঁছেছে পুলওয়ামার শরণার্থী এলাকায়। স্বভাবতই এর ফলে আতঙ্ক বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ! আইনজীবীর দাবির পরই নির্দিষ্ট এলাকা সিল করার নির্দেশ আদালতের]
এই পরিস্থিতিত সোমবার ন্যাশানাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লা জানান, ভূস্বর্গের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রবিবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফারুক বলেন, “রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কাছে কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি উত্থাপন করি। বৈঠকে আমি তাঁকে বলি, দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেশে ঘৃণার পরিস্থিতি তৈরি করছে। এই ধরনের জিনিস (সিনেমা) বন্ধ হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে যে মুসলিম বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে তা কাশ্মীরের তরুণ মুসলিমদের রাগিয়ে দিচ্ছে।”