অর্ণব আইচ: আবাসনের মালি ও নিরাপত্তারক্ষীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনার প্রায় দু’মাস পর যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনে মূল অভিযুক্তও ধরা পড়ল। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই আবাসনেরই চারতলার বাসিন্দা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে লেক থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ফের স্কুলের শৌচাগারে হাতের শিরা কাটল দশম শ্রেণির ছাত্রী, চাঞ্চল্য বালিগঞ্জে]
যোধপুর পার্কে চারতলার একটি আবাসনের তিনতলায় একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ। শক্তসমর্থ ওই বৃদ্ধার কোনও পরিচারিকা ছিল না। বাড়ির সবকাজ নিজেই করতেন তিনি। শ্যামলীদেবীর ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও মালির। গত ৪ এপ্রিল ফ্ল্যাট থেকে শ্যামলী ঘোষের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেদিন ওই বৃদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়েছিলেন তাঁরা। শ্যামলীদেবীর দেহ উদ্ধার হয় ঘরের সঙ্গে লাগোয়া রান্নাঘর থেকে। মৃতার মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি সাঁড়াশি। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারী নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন, যে পরিচিত কেউই খুন করেছে ওই বৃদ্ধাকে। শেষপর্যন্ত মৃতার ডায়েরি সূত্র ধরে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও মালিকে গ্রেপ্তার করে লেক থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় শ্যামলী ঘোষকে খুনের কথা স্বীকারও করে নেয় ধৃতেরা। আবাসনের মালি ও নিরাপত্তারক্ষী জানায়, সম্পত্তির লোভে ওই বৃদ্ধার পরিচিত একজনে নির্দেশে বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে খুন করেছে তারা। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি? নাগাল পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে ওই আবাসনেরই বাসিন্দা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল লেক থানার পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের চারতলা থাকে দেবাশিস। আবাসনটি দখল করে নেওয়ার ছক করেছিল সে। বাকি ফ্ল্যাটগুলি হাতে এলেও, শ্যামলী ঘোষ নিজের ফ্ল্যাটটি ছাড়তে চাননি। সেই আক্রোশেই নিরাপত্তারক্ষী ও মালিকে দিয়ে ওই বৃদ্ধাকে খুন করায় দেবাশিস।
[আরও পড়ুন: সরকারি কাজ চলাকালীন দেওয়াল চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু, রণক্ষেত্র নোনাডাঙা]
The post যোধপুর পার্কে ফ্ল্যাটে বৃদ্ধাকে খুন, পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত appeared first on Sangbad Pratidin.