সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হু হু করে বাড়ছে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ইতিমধ্যেই সেখানে ১৫ দিনের জনতা কারফিউ (Janta Curfew) ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের পথে হাঁটা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু গোটা দেশে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাতে আবারও দেশজুড়ে কি লকডাউন হতে চলেছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)।
বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সঙ্গে একটি ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)। সেখানেই এই প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি জানান, ফের বড়সড় লকডাউনের পথে হাঁটছে না কেন্দ্র। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে স্থানীয় স্তরে আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলছে কেন্দ্র সরকার।
[আরও পড়ুন: কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ওয়াকফ বোর্ডের]
এদিকে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় গোটা দেশ। মার্চ মাস থেকে মহারাষ্ট্রে অক্সিজেনের চাহিদা প্রচণ্ডভাবে বেড়েছে। এতে চিন্তিত পুণের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। হাসপাতালগুলিতে ৯৫ শতাংশ অক্সিজেনের জোগান দেন তাঁরা। কিন্তু এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
মঙ্গলবারই ১৫ দিনের জনতা কারফিউ ঘোষণা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)।পয়লা মে পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সমস্ত রেস্তরাঁ বন্ধ থাকবে। তবে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু থাকবে। সিনেমা, সিরিয়াল কিংবা অন্য কোনও শুটিং হবে না। স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট কোচিং বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুমতি থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। অটোতে মাত্র ২ জন যাত্রী নেওয়া যাবে। অর্ধেক যাত্রী উঠবে বাস ও ট্যাক্সিতে। কারফিউ ঘোষণা হওয়ার পরই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন মুম্বইয়ের পরিযায়ী শ্রমিকরা।