অর্ণব আইচ: সিবিআইয়ের পর এবার ইডি (ED) সেজে লুঠপাট শহরে। এক তরুণের কাছ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল এক যুবক ও তার সঙ্গিনী। পুজোর আগেই মধ্য কলকাতার বড়বাজার এলাকায় এই ঘটনাটিতে পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে। এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় পোস্তায় ধৃত আমির হোসেন ও সোমা গুহ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিয়ে চলছে পুলিশের তদন্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কর্মচারী কুড়ি লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে নিজের অফিসে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মধ্য কলকাতার রবীন্দ্র সরণি ও বড়তলা স্ট্রিটের সংযোগস্থলের কাছে একটি জায়গায় ওই তরুণের পথ আটকায় এক যুবক ও তারই সঙ্গিনী। তারা নিজেদের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। তারা বলে, ওই তরুণ নিজেদের সঙ্গে বেআইনি টাকা নিয়ে যাচ্ছেন বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ওই যুগল তাঁকে রাস্তার একপাশে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তুলনামূলক নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে মারধর করে ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গিনী। তারা তরুণের কুড়ি লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ ও একটি মোবাইল লুঠ করে পালিয়ে যায়। এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে মারধর, তুমুল উত্তেজনা বালুরঘাটে, দায়ের FIR]
তারই ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে, পোস্তায় এই ধরনেরই একটি ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি রবীন্দ্র সরণি দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন ইডি আধিকারিক সেজে ওই যুগল তাঁর পথ আটকায়। তারা তাঁকে ভয় দেখিয়ে পোস্তার আদি বাঁশতলা লেনের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। যদিও তাঁর কাছে বেশি টাকা না থাকায় তাঁকে তারা মারধর করে। পর পর এই ধরনের ঘটনা ঘটায় লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাঁরা ওই যুগলকে শনাক্ত করেন।
পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ওই যুবক ও যুবতীকে ধরে ফেলা হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কুড়ি লক্ষ টাকার লুঠপাটের পিছনে ওই যুগলই রয়েছে। এছাড়াও পুজোর আগে বড়বাজার ও পোস্তা এলাকায় তারা এই ধরনের আরও অপরাধ করেছে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই যুগলকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।